নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামীরা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বাদীনিকে। এমন অভিযোগ করেছেন মামলার বাদিনী রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার মাঝগ্রামের মৃত মাছিম প্রামানিকের মেয়ে মোছাঃ তাসলিমা (২৯)। 

তিনি বলেন, মামলার সাক্ষ্য গ্রহনের নামে পুলিশ কয়েক স্বাক্ষীর শুধু সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে। মামলার আসামীরা ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের ধরছেনা বলে তিনি অভিযোগ করেন। আসামীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও দাবী করেন তিনি।

তবে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোবারক হোসেন অভিযোগ সঠিক নয় দাবী করে জানান, আদালতের নির্দেশে যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালতের নির্দেশ পেলেই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানান। হুমকির কথাটি তাকে কেউ জানায়নি বলে জানান তিনি।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী মোছাঃ তাসলিমা বিবির (২৯) বিগত ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার দাঁড়িয়াগাথী গ্রামের মোঃ কিয়ামত ওরফে নিয়ামতের (৫০) সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে বাদীনির স্বামী, দেবর, সৎ ছেলে, সৎছেলের স্ত্রী ও সৎছেলের শ্বশুর তার ওপর শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।

একপর্যায় স্বামী যৌতুক বাবদ ২লাখ টাকা দাবী করলে তাসলিমার দরিদ্র ভাইয়ের পক্ষে তা দেয়া সম্বব নয় বলে জানিয়ে দেয়। একপর্যায় গত মে মাসের ২৭ তারিখ বিকেল ৩টায় আসামীরা তাকে বেদম মারপিট করে শ্বাস রোধে হত্যার চেষ্টা চালায়।এমন কি তাকে ঘরে আটকে রাখে।

এ ব্যাপারে আদালতে ১০০ ধ্রায় একটি মামলা করলে গত ৩১-০৬-১৮ তারিখে আদালতের নির্দেশে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের জিম্মায় তুলে দেন। এরপর তাকে বাগমারা হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।

এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করলে আদালত বাদীনির অভিযোগ এজাহার হিসেবে গন্য করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ১৮(১) (খ) ধারা মতে আদেশ প্রাপ্তির ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেন দাখিলের জন্য ওসি আত্রাইকে নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী অফিসার আত্রাই থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তদন্ত চলছে। বাদীনি স্বাক্ষী হাজির করতে না পারায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে যথাসময়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।

(বিএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮)