স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য অধিকার আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একে অপরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় বলে জানিয়েছেন তথ্য কমিশনের প্রধান কমিশনার মরতুজা আহমদ। তিনি বলেছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনসহ অন্য সব আইনের ওপরে প্রাধান্য পাবে তথ্য অধিকার আইন।

তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন মরতুজা আহমদ। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং তথ্য কমিশনের দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিব আবু আলী হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও তথ্য অধিকার আইনের ধারা তুলে ধরে মরতুজা আহমদ বলেন, তথ্য অধিকার আইনের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে, প্রচলিত অন্য কোনো আইনে তথ্য প্রদানের বাধা সংক্রান্ত বিধানবলি, এ আইনের বিধানবলির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হইলে, এ আইনের বিধানবলি প্রাধান্য পাইবে।

‘আর ডিজিটিল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ এর তথ্য অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে- আইনের কোনো বিধান অসামঞ্জস্য হইলে, আইনের বিধানের সঙ্গে যেটুকু অসামঞ্জস্য হইবে ততোখানি এ আইনে কার্যকর থাকবে। তবে তথ্য অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইনের বিধানাবলি কার্যকর থাকিবে’ বলেন প্রধান তথ্য কমিশনার।

তিনি বলেন, আইনের এ ব্যাখ্যায় স্পষ্ট তথ্য অধিকার আইনের সব বিধান অন্য সব আইন এমনকি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওপরেই প্রাধান্য পাবে। সে জন্য তথ্য অধিকার আইন যতবেশি প্রচার ও প্রসার হবে সবার জন্য রক্ষাকবচ হবে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মরতুজা আহমদ বলেন, বিভিন্ন সংস্থার ওয়েবসাইটে ও কার্যালয়ে তথ্য কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করতে হবে। সকলে তথ্য দিতে বাধ্য। কেউ অসত্য বা খণ্ডিত তথ্য দিতে পারবে না। আর তথ্য না দিলে তার শাস্তির হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন পাস করি। জনগণের কাছে সকলের যে জবাবদিহিতা আছে তা এ আইনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একটা সময় ছিল জনগণের টাকা কীভাবে খরচ হতো তা জনগণের জানার সুযোগ ছিল না।

দেশে মানুষের বাক স্বাধীনতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে ১ হাজার ১২০টি দৈনিক পত্রিকা, ৩০টি টিভি, ২৮টি এমএম রেডিও, ৩২টি কমিউনিটি রেডিও এবং অসংখ্য অনলাইন পত্রিকা রয়েছে। এটাই প্রমাণ করে এ দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা রয়েছে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮)