স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেছেন, আমার সন্তান মাদক ব্যবসায় যুক্ত ছিল না। ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

এ ছাড়া পুলিশের করা মামলায় বলা হয়েছে ২৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে ছেলেকে আটক করা হয়। কিন্তু আটক করেছে আগের দিন আনুমানিক রাত ৮টায়। আটকের স্থান হিসেবে দেখানো হয়েছে পল্লবী থানার অধীন। অথচ জায়গাটি মিরপুর থানার অধীন। সময় ও স্থান দুটিতেই অসামঞ্জস্য রয়েছে।

শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ডিএনসিসির নগর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্যানেল মেয়র বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার রয়েছি। এ জন্য নানা ধরনের হুমকি ধমকির শিকারও হতে হয়েছে। সবার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মাদকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সম্প্রতি আমি নিজেই সেই কুচক্রী মহলের শিকারে পরিণত হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে আমার বড় ছেলে রফিকুল ইসলাম রুবেলকে তার বন্ধু পরিচয় দিয়ে কে বা কারা ফোনে ডেকে নেয়। পরে পল্লবী থানা পুলিশ তাকেসহ আরও দুইজনকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে এক নারীও রয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোন করি। পরবর্তীতে থানায় গেলে জানানো হয়, আটককৃতরা মাদক ব্যবসায় যুক্ত। ছেলেকে ছেড়ে দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর তাদের কোর্টে চালান দেয়া হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল মেয়র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী রোকেয়া জামান, পুত্রবধূ নাহিদা সুলতানা পলি।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮)