স্পোর্টস ডেস্ক : তাপমাত্রা সবসময় চল্লিশের উর্ধ্বে, এক ম্যাচ দুবাই তো অন্য ম্যাচ আবুধাবিতে, ৮ দিনের ব্যবধানে খেলতে হয়েছে ৫টি ম্যাচ। আরব আমিরাতে দীর্ঘ দুই যুগ পর খেলতে গিয়ে এতসব প্রতিকূলতার পরেও ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে একদম শেষ বলে গিয়ে হারতে হয়েছে ৩ উইকেটের ব্যবধানে। তবু ভারতের মতো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে মাত্র ২২২ রানের পুঁজি নিয়েও যে লড়াকু মানসিকতা দেখিয়েছে মাশরাফির দল, তাতে মুগ্ধ হয়েছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা, বাহবা দিয়েছেন টাইগার বোলারদের।

শিরোপা জিততে না পারার হতাশা থাকলেও, এতো প্রতিকূলতার মাঝে নিজেদের সেরা খেলা উপহার দেয়ায় বাংলাদেশ দলকে নিয়ে গর্বিত দলের কোচ স্টিভ রোডসও। শনিবার রাতে দেশে ফেরার পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি টাইগার কোচ। জানান এশিয়া কাপে নিজের অভিজ্ঞতার কথা, দলের প্রতি তার গর্ববোধের কথা।

রোডস বলেন, ‘টানা সফর করা, গরম সহ্য করে খেলা খুবই কঠিন ছিল। ছেলেরা তাদের সবটুকু দিয়েছে। আমরা আমাদের সেরা দল নিয়ে খেলতে পারিনি। সাকিব-তামিমের কেউই ছিল না। কিন্তু কৃতিত্ব পুরোটাই ছেলেদের, যারা নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়েছে। টুর্নামেন্টে আরও ৪টি দল ছিল, যারা ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারেনি। এদের মধ্যে দুটি দল খুবই ভাল ছিল। অত্যধিক গরম ও সফর ক্লান্তির মধ্য দিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয়া প্রশংসনীয় ছিল। আমি খুবই গর্ববোধ করছি আমার দল নিয়ে।’

দল ভালো খেললেও ফাইনালে গিয়ে আসেনি জয়, জেতা হয়নি শিরোপা। শেষ হাসিটা হাসতে না পারায় খানিক হতাশ এ ইংলিশ কোচ। তবে দলের লড়াকু মনোভাব ও এক বিন্দুও ছাড় না দেয়ার মানসিকতা মুগ্ধ করেছে টাইগার কোচকে।

‘শিরোপা জিততে না পারায় কিছুটা হতাশ। কিন্তু আপনাকে বিষয় গুলো বুঝতে হবে। আমাদের জয়ের সুযোগ ছিল। আমরা সুযোগটা হাতছাড়া করেছি। আমরা ভাল পারফর্ম করেছি। ভারতীয় দল খুবই ভাল দল, আমরা সবাই জানি। তাদের দল অসাধারণ সব ক্রিকেটারে ভরা, আর বেঞ্চেও অনেক দারুণ ক্রিকেটার রয়েছে। তাদেরকে একদম শেষ বল পর্যন্ত ঠেলে নেয়া খুবই ভাল পারফরম্যান্স ছিল। শুধু একটু হতাশ, আমরা শেষ পর্যন্ত শিরোপা জয় করতে পারি নি।’

তবে টুর্নামেন্ট শেষে এশিয়া কাপে নিজের অভিজ্ঞতাকে দারুণ হিসেবে আখ্যা দেন রোডস। তিনি বলেন, ‘সবমিলিয়ে এশিয়া কাপের অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। এই সফর থেকে অনেক ভাল পয়েন্ট বের হয়ে এসেছে। আমাদের কিছু কঠিন মুহূর্তের সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু এবারের সফরে আমরা স্কোয়াড সম্পর্কে ভাল জেনেছি। আর ফাইনাল ম্যাচটা দারুণ এক মুহূর্ত ছিল, আক্ষেপ আমরা ম্যাচটা শেষ করতে পারি নি। ছেলেরা দারুণ পারফর্ম করেছে, বিশেষ করে বোলাররা। তাঁরা চেষ্টা করছে লো স্কোর ডিফেন্ড করার। আমরা সুযোগ নষ্ট করেছি, তবে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়েছি। আশা করি বাংলাদেশি মানুষজন দেখেছে, এই দলটি সত্যিই লড়াই করা শুরু করেছে।’

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮)