রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা সীমান্ত ঘেষে হরিপুর কেবি ডিগ্রি কলেজ সভাপতির বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শিক্ষক কর্মচারীদের ৬ মাসের বিলে স্বাক্ষর না করার প্রতিবাদে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে কলেজ শিক্ষক ও শিক্ষাথীরা।

সংবাদ সম্মেলনে কেবি কলেজের অধ্যক্ষ জালাল উদ্দীন লিখিত বক্তব্যে বলেন, গর্ভনিং বডির সভাপতি এ্যাডঃ সোহরাব হোসেন শিক্ষকদের হুমকি দিয়ে বলেন আমার যা ইচ্ছা তাই করবো ২০৪১ সাল পর্যন্ত এবং যে কোন সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ করার ক্ষমতা রাখি। শিক্ষক প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে ইচ্ছেমত শিক্ষক মনোনয়ন দিচ্ছে।

এছাড়াও প্রতি শনিবার কলেজে এসে শিক্ষক কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং এ কলেজে কোন টিচার্স কাউন্সিল থাকবেনা। টিচার্স কাউন্সিল রুমটি আড্ডা খানায় পরিণত করেন। কলেজের ৮টি গাছ রেজুলেশন ছাড়াই বিক্রি করে আত্বসাৎ করেছেন । কলেজের ভর্তি ফি,ফরম ফিলাপ ও টিউশন ফির টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষক কর্মচারীদের ২টি বোনাস সহ ৬ মাসের বিলে সভাপতি স্বাক্ষর না করায় আমরা তা পাচ্ছি না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে। এছাড়া তিনি সভাপতি হওয়ার পর থেকে যখন তখন অনেক শিক্ষকের বিল বন্ধ করেছেন তার নির্যাতনের স্বীকারে শিক্ষক কর্মচারীরা সবাই অতিষ্ঠ। সংবাদ সন্মেলনে সভাপতির অনেক অনিয়মে চিত্র তুলে ধরে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন, সহকারী অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন।

অপরদিকে শিক্ষার্থীদের নম্বরপত্র জব্দ করে রাখায় এবং সীমাহীন দূনীতিও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে সভাপতির বিরুদ্ধে কাঁঠালডাঙ্গী বাজারে মানব বন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে গর্ভনিং বডির সভাপতি এ্যাডঃ সোহরাব হোসেন মুঠোফোনে বলেন, জালাল উদ্দীন আমার কলেজের অধ্যক্ষ না। মূলত অধ্যক্ষ হচ্ছে আব্দুস সামাদ তার স্বাক্ষরে ২৬-৮-১৮ তারিখে হরিপুর সোনালি ব্যাংকে বিল জমা দিয়েছি। ব্যাংক কেন দিচ্ছে না তা আমার জানা নেই। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়।

(কেএএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮)