আশাশুনিতে পঞ্চম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : পঞ্চম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খড়িয়াটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত মাদ্রাসাছাত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষকের নাম আইয়ুব হোসেন।তিনি আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের জমাত আলী সরদারের ছেলে। তবে তিনি খড়িয়াটি গ্রামে তার শ্বশুর আছির মলঙ্গীর বাড়িতে থাকেন।
ধর্ষিতা শিশুটির বাবা জানান, তিনি সাতক্ষীরা শহরের রইচপুরে থেকে দিনমজুর খেটে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। ঘরবাড়ির অবস্থা ভাল না হওয়ায় সন্ধ্যার পর মেয়েটি তার খালার বাড়িতে চলে যায়। প্রতিদিনের ন্যয় শনিবার রাত সাতটার দিকে মেয়েটি খালার বাড়িতে যাওয়ার সময় আইয়ুব আলীর স্টল দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরপরই আইয়ুব তার মুখে গামছা বেধে জোর করে তার শ্বশুরের আম বাগানে টেনে নিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। মেয়েটির গোঙানিতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসক ও রোববার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতলে ভর্তি করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আইয়ুব আলীর তার স্ত্রীকে দু’বছর আগে সৌদি আরবে কাজ করতে পাঠায়। গত মে মাসে আইয়ুব আলী তার শ্বশুর বাড়ির পাশের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করলেও স্থানীয়ভাবে তাকে সংশোধনের জন্য সূযোগ দেওয়া হয়। এ সুযোগ পেয়ে শনিবার রাতে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে আইয়ুব আলী।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ কানিজ ফাতেমা জানান, মেয়েটির যৌনাঙ্গ ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ধর্ষণের আলামত রয়েছে তার শরীর ও পরিহিত পোশাকে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ জানান, এ ঘটনায় রবিবার রাত সাতটা পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(আরকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮)