কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : ছাত্রলীগ নেতাদের ভাড়া করে ট্রলার মালিকের কাছে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য সাগরে গিয়ে এখন নিখোঁজ রয়েছে চার ছাত্রলীগ কর্মীসহ নয় জেলে। 

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটা বঙ্গোপসাগরে এ ১৩ জনের নিখোঁজের ঘটনায় এখন তাদের পরিবারে বিরাজ করছে আতঙ্ক। কেউ বলছে ট্রলার ডুবি হয়েছে, কেউ বলছে ১৩ জনকেই জলদস্যুরা মুক্তিপনের দাবিতে অপহরণ করেছে। নিখোঁজদের সন্ধানে পুলিশও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অভ্যাহ রেখেছে। গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটলেও রবিবার সন্ধায় এ নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে।

নিখোঁজ ১৩ জন হলেন ছাত্রলীগ কর্মী রুবেল, সোহেল, রিয়াদ ও হিরন। জেলে ট্রলার মাঝি হেমায়েত, শামীম গাজী, আলাউদ্দিন বেপারী, সুমন গাজী, ইব্রাহীম, রিয়াজ তালুকদার ও খবির তালুকদার। বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের মৎস্য ব্যবসায়ী ও ট্রলার মালিক দুলাল হোসেন ট্রলার মালিক মোঃ জালালের কাছে টাকা পায়। মোটা অংকের এই টাকা আদায়ের জন্য ছাত্রলীগের কয়েক কর্মীর সাথে এক লাখ ৯০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে লালুয়ার মুন্সিপাড়ার আলাউদ্দিনের ট্রলার নিয়ে নয় জেলেসহ ছাত্রলীগের কর্মীরা সাগরে গিয়ে জালালের ট্রলার ধাওয়া করতে থাকে। প্রায় পাঁচ ঘন্টা ধাওয়ার পরে আলাউদ্দিনের ট্রলারের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়।

এসময় সাগরে অপর একটি ট্রলারের সাহায্যে কয়েকজন ফিরে আসে। কিন্তু আলাউদ্দিনের ট্রলারসহ এরা নিখোঁজ হয়ে যায়। তারা ভাসতে ভাসতে গিয়ে কোন জলদস্যুর কবলে পড়তে পারে বলেও ধারনা করছেন লালুয়ার মুন্সিপাড়া গ্রামের তারিক খান। এখন নিখোঁজদের স্বজনদের কাছে মোবাইলে মুক্তিপনের টাকা চাওয়া হচ্ছে। এনিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রলীগের তিন ক্যাডারের বাড়ি ধুলাসারে। আরেকজনের বাড়ি কলাপাড়ায়।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া ও গলাচিপা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, এ ১৩ জন ছাড়া আরও বেশি হতে পারে নিখোঁজদের সংখ্যা। রোববার রাতে তিনি পুলিশ নিয়ে ঢোস এলাকায় ছিলেন নিখোঁজদের সন্ধানে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানান। তবে এ ঘটনায় এখনও থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।

(এমকেআর/এসপি/অক্টোবর ০১, ২০১৮)