ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি : আগামী ১৫ অক্টোবর মহা পঞ্চমীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়েরর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় শারদীয়া উৎসব।ধর্মীয় রীতি মতে এবার “দেবীর ঘোটাকে আগমন ও দেবীর দোলায় গমন”।

এবার ধামরাই উপজেলার একটি পৌর সভা ও ষোল টি ইউপির বিভিন্ন স্থানে ১৯৪ টি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে শারদীয়া উৎসবের আয়োজনে শিল্পী -পূজারীরা প্রতিমা গড়ার কাজে এখন মহা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

বাঁশ দিয়ে অবকামো তৈরী,প্রতিমা শিল্পীরা তাদের সহ কর্মীদের দিয়ে মাটি নরম ও তৈরী করার পর প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি ও মূর্তি গড়ার কাজ ও প্রায় শেষ পর্যায়ে এনেছেন।

দ্রুতই শুরু হবে রং তুলির কাজ। দু-একটি প্রতিমা রং তুলির কাজ হয়েছে। আগামী ১৫অক্টোবরের আগে সকল প্রকার সাজ-সজ্জার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানালেন আয়োজক পূজারী ডাঃ অজিত বসাক। তিনি বলেন দেশের মঙ্গল কামনায় এবারো শানিতপুর্ন ভাবে উৎসব পালন ও শেষ বে বলে আশা প্রকাশ করেন।

ধামরাইয়ে ৪ শত বছর ধরে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে কাহেৎ পাড়ার ঐতিহ্যবাহী রায় বাড়িতে। প্রতিবছরের মত জাকজমক পূন্য ভাবে এবারো পূজার আয়োজন করেছেন বলে জানান রায় বাড়ির সদস্য এডভোকেট শ্যামল রায় মৌলিক। সার্বজনীন এই উৎসব সকলের সার্বিক সহযোগিতায় অনূষ্ঠিত হয়ে থাকে। মূতিতে রংয়ের কাজ শুরু হবে।

এবার আয়োজন বর্ধিত কলেবরে হবে বলে জানান দুই শত বছর ধরে পূজার আয়োজন কারী পরিবারের সদস্য পূজারী প্রকাশ বণিক। তিনি বলেন প্রতিমা গড়ার কাজ চলছে ও শোকানোর কাজও শেষে রং তুলির কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

ধামরাইয়ের বিশ্বকর্মা পুজারীদের অন্যতম নেতা ও শিল্পী সুকান্ত বণিক বলেন, শিল্পীরা সুক্ষ সুক্ষ কাজগুলি করছে। পুজা উৎসবকে কেন্দ্র করে ঘরে ঘরে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে ধামরাইয়ে। ঢাকার পাশেই ধামরাই একটি ঐতিহ্যবাহী অতি প্রাচীন জনপদ। এখানে প্রায়ই বিদেশী পর্যটকরা ভ্রমনে আসেন। অথচ এখানকার প্রধান সড়কটিই দিনে দিনে দখল হয়ে ক্ষিনকায় রূপ নিচ্ছে। রাস্তার উপর বসে হাঠ।
বিদেশী পর্যটক রথ ও বিভিন্ন এলাকা ঘুরছেন।

মাধব মন্দির ও ধামরাই উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক পুজারী নন্দ গোপাল সেন বলেন ১৫ অক্টোবর মহা পঞ্চমীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়েরর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় শারদীয়া উৎসব।ধর্মীয় রীতি মতে এবার “দেবীর ঘোটাকে আগমন ও দেবীর দোলায় গমন” । বাংলাদেশের উপজেলা গুলির মধ্যে ধামরাই উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে এ পূজার আয়োজন সব চেয়ে বেশী। এবার ধামরাইয়ে ১৯৪ টি দূর্গা মন্দিরে শারদীয়া উৎসবে আয়োজন হচ্ছে। প্রশাসন থেকে থেকে সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুজারী নের্তৃবৃন্দদের সাথে পুলিশ প্রশাসনের উধ্বতন কর্মর্তার মতবিনিময় করেছেন। পৌর এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে ৪৩ টি পূজার আয়োজন রয়েছে। রংতুলির কাজ শুরু হবে।

এব্যাপারে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন হিন্দু সম্প্রদায়ে সব চেয়ে বড় উৎসব শারদীয়া দূর্গা পূজা। এই পূজা উপলক্ষে প্রশাসনিক প্রয়োজনী সকল ব্যবস্থা গ্রহর করা হবে। তিনি এ বিষয়ে সকলের সার্বিক সহযোগিা প্রত্যাশা করেন।পুজায় সরকারী অনুদান আসা মাত্রই সকল পূজারীবৃন্দদের মাঝে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান।

ধামরাই থানার অফিসার্স ইনাজ দীপক কুমার সাহা বলেন, শারদীয়া দূর্গা পূজা উপলক্ষে প্রশাসনিক প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ধামরাই উপজেলায় এবার ১৯৪ টি মন্দিরে পুজা হবে।এর মধ্যে থানা ও পৌর এলাকায়ই ৪৩ টি মন্দিরে পুজার আয়োজন রয়েছে। আর এই সব মন্দির প্রাঙ্গন গুলোই অধিক ভক্তবৃন্দের আগম ঘটে একারনে এই সব মন্দির গুলোতে আমাদের বেশী কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে বলেন। তিন সকল স্তরের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান। প্রতি বারের মতো এবারো শান্তিপূর্ন ভাবে পূজা উৎসব সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিসি।

ধামরাই পৌর মেয়র গোলাম কবী বলেন প্রতি বরের মতোই এবারো শান্তি পুর্নভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা অনুষিÍ হবে। তিনি পৌর সভার পত্থ থেকে সব ধরনের প্রযোজনীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা করার কথা বলেন । তিনি আরো বলেন প্রতিবারের মতো এবারো শারদীয় উৎসবের সির্জনস্থল ধামরাই কায়েত পাড়া বংশী নদীর মাধব বাড়ি ঘাটটি সংস্কার করে সেখানে লাইটংয়ের ব্যবস্থা সহ পৌর সার সকল কাউন্সিলর ও ষ্টাফদের দায়িত্ব দেওয়া য়ে।

ধামরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তমিজ উদ্দিন জানিয়েছেন শারদীয় উৎসব হিন্দুদের তবে এ উৎসব উপভোগ সার্বনীন ভাবে হয়।্ আমরাওউঝোগ করি।

(ডিসিপি/এসপি/অক্টোবর ০৪, ২০১৮)