স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর রিটে জারি করা রুলের শুনানি আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে খালেদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

খুরশীদ আলম খান বলেন, সাজা বাড়ানোর বিষয়ে করা আবেদনের ওপর মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী শুনানি শুরু করি। আজ ছিল শুনানির দ্বিতীয় দিন। আদালত এ শুনানি আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন। ওই দিন এ বিষয়ে আবারও শুনানি হবে।

এর আগে জামিনের মেয়াদ ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিলের শুনানি ২ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন হাইকোর্ট। গত ১২ জুলাই আপিল শুনানি শুরু হয়।

এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক। খালেদা জিয়া ছাড়া কারাবন্দি বাকি দুই আসামি হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

পলাতক তিনজন হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

একইসঙ্গে খালেদার ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি তারা এ আবেদন করেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন। এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

পরে ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট। ১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। এখন তিন আসামির আপিল ও দুদকের আবেদনের রুল ওই আদালতে শুনানি হচ্ছে।

এ মামলায় ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। চার মাস শেষে ১৯ জুলাই পর্যন্ত তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। পরে দ্বিতীয় দফায় ২৬ জুলাই, তৃতীয় দফায় ৩১ জুলাই, চতুর্থ দফায় ১৩ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করেন হাইকোর্ট। এদিকে হাইকোর্টে এ মামলা নিষ্পত্তিতে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ০৪, ২০১৮)