স্টাফ রিপোর্টার : বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বাধা ও সমস্যা দূর করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও বাংলাদেশের মধ্যে সংলাপ চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ইইউ-বাংলাদেশ ফোর্থ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ’ শুরু হয়েছে।

ব্যবসায়-বাণিজ্যের পরিবেশ নিয়ে চতুর্থ রাউন্ডের সভায় সভাপতিত্ব করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এতে ইইউর রাষ্ট্রদূত রেনিসি তেরিংকসহ আটটি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইইউ বিজনেস সেক্টরের নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।

সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসু, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল হক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত রয়েছেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ইইউভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের রফতানির সবচেয়ে বড় অংশীদার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ইইউ দেশগুলোতে ২০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করা হয়, যা মোট রফতানির প্রায় ৫২ শতাংশ। বাংলাদেশ ইইউভুক্ত দেশে রফতানির ক্ষেত্রে ইবিএ’র (অস্ত্র ছাড়া বা‌কি সব পণ্য) আওতায় জিএসপি সুবিধা ভোগ করছে। তবে ইইউভুক্ত দেশগুলোর যেসব কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যবসা করছে তারা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সেইসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে গত মে মাসে ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

২০১৬ সালের ২২ মে প্রথম ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ হয়। ওই ডায়ালগে ফলপ্রসূ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট বিষয় ও সেক্টরভিত্তিক পাঁচটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়। কাস্টমস, ফার্মাসিউটিক্যাল, ট্যাক্স, ফাইন্যান্সিয়াল ফ্লোস এবং বিনিয়োগ বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের সংশ্লিষ্ট সেক্টরের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের উপায় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবের আলোকে ইতিমধ্যে তিনটি ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত চতুর্থ ডায়ালগে এ পর্যন্ত অর্জিত অগ্রগতি পর্যালোচনা করা এবং যেসব ইস্যুতে অগ্রগতি আবশ্যক তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা রয়েছে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ০৪, ২০১৮)