সাইফুল ইসলাম কবির, সুন্দরবন থেকে ফিরে : সুন্দরবনের সাগরে বাগেরহাটের শরণখোলার এফবি সুমন নামের একটি ফিশিং ট্রলারে জলদস্যুরা হামলা চালিয়ে জাল ও অন্যান্য মালামালসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার সম্পদ লুটে নিয়েছে। এসময় দস্যুদের হামলায় ছয় জেলে আহত এবং এক জেলে সাগরে পড়ে নিখোঁজ হন। বুধবার ভোররাতে সাগরের ১নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার রাত ৭টায় শরণখোলার রাজৈর মৎস্য ঘাটে ফিরে এসে জেলেরা জানান, তারা ১৬ জেলে বুধবার ভোর ৪টার সময় ফেয়ারওয়ে বয়ার পূর্ব দিকে অবস্থান নিয়ে সাগরে জাল ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় এফবি শিকদার নামের একটি ফিশিং ট্রলারযোগে ২০-২৫ জন জলদস্যু এসে রাম দা, চাপাতি, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে জেলেদের ওপর হামলা চালিয়ে ৮লাখ টাকা মূল্যের ইলিশ ধরা জালসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। দস্যুদের এলোপাতাড়ি মারপিটে ট্রলারের মাঝি উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের জিলবুনিয়া গ্রামের ফুলমিয়া হাওলাদার (৩৮), খাদা গ্রামের রিয়াদুল তালুকদার (৪০), দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের রনি হাওলাদার (১৮), কদমতলা গ্রামের সাইয়েদ হাওলাদার (৫০), একই গ্রামের আফজালা সাহ (৫৫) ও ধানসাগর ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের মনির খান (২৮) আহত হন।

এসময় দস্যুরা চার জেলেকে সাগরে ফেলে দেয়। পরে তিন জেলে উদ্ধার হলেও শরণখোলার ধানসাগর ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের আমীর আলী হাওলাদারের ছেলে মো. জাহাঙ্গীরকে (৫০) খুঁজে না পেয়ে ফিরে আসেন তারা।

ট্রলার মালিক উত্তর কদমতলা গ্রামের মো. কালাম মৃধা জানান, আহতদের চিকিৎসার জন্য শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।

জাতীয় মৎস্য সমিতির শরণখোলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, যেহেতু দস্যুরা এফবি শিকদার নামের একটি ট্রলারে এসে দস্যুতা চালিয়েছে, তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুসন্ধান চালালে দস্যুদের আটক করা সম্ভব হতে পারে।

(এস/এসপি/অক্টোবর ০৪, ২০১৮)