কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : ‘শিক্ষা নিয়ে গরবো দেশ,শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানে শ্লোগানে হাজারো স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থী ও সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে বিশাল বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। 

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন থেকে র‌্যালিটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিশু পার্কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।

র‌্যালিতে কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর রহমান, পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, কলাপাড়া থানার ওসি মো. মরিুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। র‌্যালি শেষে অতিথিসহ সর্বস্তরের মানুষ শিশু পার্ক মাঠে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন মেলায় সরকারি-বেসরকারি অফিসের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। প্রতিটি স্টলে বর্তমানে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়।

র‌্যালিতে অংশ নেয়া তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র দূর্জয় জানায়, সরকার তাদের বিনামূল্যে বই, উপবৃত্তি প্রদান করছে। গরীব ও মেধাবীদের বিনা বেতনে পড়াচ্ছে। সরকারি এই উন্নয়ন কর্মকান্ড যাতে সবাই জানতে পারে তাই ব্যানার হাতে সহপাঠীদের সাথে অংশ নিয়েছে।

নবম শ্রেণির ছাত্রী তুলি আক্তার জানায়, সরকার মেয়েদের বিনামূল্যে পাঠদানের ব্যবস্থা করেছে। নারী শিক্ষার অগ্রগামীতায় শহর ও গ্রামাঞ্চলে এখন বাল্যবিবাহ, তালাক ও যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতনের হার অনেক কমেছে। উন্নয়ন মেলায় এ বিষয়টি তুলে ধরেছে বিভিন্ন অধিদপ্তর। যা সবার শিক্ষনীয়। বর্তমান সরকারের আমলেই নারী শিক্ষার হার বেড়েছে।

কলেজ ছাত্র মো. আলামিন জানায়, সরকার চাকুরী ক্ষেতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকুরীতে কোঠা বাতিল করায় মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য এখন চাকুরীর পদ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষা ক্ষেতে আমুল পরিবর্তন হয়েছে।

উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে র‌্যালিতে অংশ নেয়া স্কুল-মাদরাসা ও কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষকরা এখন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার মতো বেতন,ভাতা পাচ্ছে। যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় সম্ভব হয়েছে। কলাপাড়ার একটি কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ হওয়ায় গোটা উপজেলার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আনন্দিত।

(এমকেআর/এসপি/অক্টোবর ০৪, ২০১৮)