আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ভোটগ্রহণের দুই মাস দুইদিন পর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফলে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এছাড়া সংরক্ষিতসহ ৩১জন বিজয়ী কাউন্সিলরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

তবে নানা অনিয়মের অভিযোগে নয়টি কেন্দ্রে শুধুমাত্র কাউন্সিলর পদে পুননির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার দুপুরে রিটার্নিং অফিসার মোঃ মুজিবুর রহমানের ঘোষণা অনুযায়ী বিজয়ী ২৪জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত সাতজন নারী কাউন্সিলর হলেন-সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে মিনু রহমান, ২নং ওয়ার্ডে জাহানারা বেগম, ৩নং ওয়ার্ডে কহিনুর বেগম, ৪নং ওয়ার্ডে আয়শা তৌহিদ লুনা, ৭নং ওয়ার্ডে ছালমা আক্তার শিলা, ৮নং ওয়ার্ডে রেশমি বেগম, ১০নং ওয়ার্ডে রাশিদা পারভীন।

সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২নং ওয়ার্ডে একেএম মতুর্জা আবেদীন, ৩নং ওয়ার্ডে সৈয়দ হাবিবুর রহমান, ৪নং ওয়ার্ডে তৌহিদুল ইসলাম বাদশা, ৫নং ওয়ার্ডে কেফায়েত হোসেন রনি, ৬নং ওয়ার্ডে খান মোঃ জামাল হোসেন, ৭নং ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম খোকন, ৮নং ওয়ার্ডে সেলিম হাওলাদার, ৯নং ওয়ার্ডে হারুন-অর রশিদ, ১০নং ওয়ার্ডে এটিএম শহিদুল্লাহ কবীর, ১১নং ওয়ার্ডে মজিবর রহমান, ১২নং ওয়ার্ডে জাকির হোসেন ভুলু, ১৩নং ওয়ার্ডে মেহেদী পারভেজ খান, ১৫নং ওয়ার্ডে লিয়াকত হোসেন খান লাবলু (বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায়), ১৬নং ওয়ার্ডে মোশারফ আলী খান বাদশা (বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায়), ১৮নং ওয়ার্ডে মীর জাহিদুল কবীর জাহিদ, ১৯নং ওয়ার্ডে গাজী নঈমুল হোসেন লিটু (বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায়), ২০নং ওয়ার্ডে জিয়াউর রহমান, ২১নং ওয়ার্ডে শেখ সাইদ আহম্মেদ মান্না, ২৫নং ওয়ার্ডে সাইদুর রহমান জাকির, ২৬নং ওয়ার্ডে হুমায়ুন কবীর, ২৭নং ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম, ২৮নং ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর হোসেন, ২৯নং ওয়ার্ডে ফরিদ আহম্মেদ এবং ৩০নং ওয়ার্ডে কালাম মোল্লা নির্বাচিত হয়েছেন।

স্থগিত থাকা নয়টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে ছয়জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং তিনজন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

রিটার্নিং অফিসার জানান, নয়টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হবে। কেন্দ্রগুলো হলো-৪, ৫৮, ৬৭, ৬৮, ৮২, ৮৩, ৮৭, ৯৪ ও ৯৯নং কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে আগামী ১৩ অক্টোবর ভোটগ্রহনের একটি সম্ভাব্য তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন মোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৫১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটের হার শতকরা ৬২ ভাগ। তবে নানা অনিয়মের অভিযোগে এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করে নির্বাচন কমিশন। তদন্ত শেষে নির্বাচনের দুই মাস দুইদিন পর ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

(টিবি/এসপি/অক্টোবর ০৪, ২০১৮)