কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ পূর্বক গণধর্ষণের দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন ও ১ জনের ১৪ বছরের কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। 

বৃহষ্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মোঃ মশিউর রহমান জনাকীর্ন আদালতে এই রায় প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তর হলেন, কুমারখালি উপজেলার সাওতা উত্তরপাড় এলাকার সাহেব আলী শিহাব, জমির শেখ, মসলেম শেখ, আরিফ শেখ, মুক্তার শেখ ওরফে মোকাদ্দেস, ময়েন উদ্দিন, মিন্টু শেখ।

এছাড়া উপজেলার কেসবপুর গ্রামের নাজির উদ্দিন শেখের ছেলে আরিফ শেখ ওরফে শরীফ ওরফে কলা আলীকে ১৪বছরের সশ্রম কারাদন্ডসহ ৫০হাজার টাকার জরিমানার আদেশ দেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রেমের সম্পর্ক সূত্রে কুষ্টিয়া মহিলা কলেজের এক ছাত্রীকে কুমারখালী উপজেলার কেসবাপুর গ্রামের নাজির উদ্দিন শেখের ছেলে আরিফ শেখ ডেকে নিয়ে যায়। আসামি আরিফ ঐ ছাত্রীটিকে তার অপর বন্ধু উপজেলার মোবারক শেখের ছেলে মিন্টুর বাড়িতে তোলে। ঘটনার দিন একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে আসামিরা যোগসাজসে মিন্টুর বাড়ি থেকে অপরহণ করে পার্শ্বস্ত কলা বাগানে নিয়ে গিয়ে রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ চালিয়ে মুমুর্ষবস্থায় সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন ১ অক্টোবর গুরুতর আহত ঐ ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং একই দিনে কুমারখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০র ৯(৩)/৩০ মামলা করেন ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রীর এক আত্মীয় বাদি হয়ে ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের সরকারী কৌশুলী আকরাম হোসেন দুলাল জানান, কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলার তদন্ত শেষে চার্যশীট দাখিল করেন কুমারখালী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত দীর্ঘ স্বাক্ষী শুনানী শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিনে জনাকীর্ন আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় সকল আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। এছাড়া এজাহারভুক্ত অপর আসামি একই এলাকার শামসুল শেখ বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

(কেকে/এসপি/অক্টোবর ০৪, ২০১৮)