আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : প্রেমের সম্পর্ক অভিভাবক মেনে না নেয়ায় প্রেমিকের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে বিয়ে করেছিলো স্কুল ছাত্রী ইসরাত জাহান ইতি। বিয়ের কয়েকদিন পরেই বাবার বাড়ি থেকে মোটা অংকের টাকা যৌতুক আনার জন্য স্বামী ও তার পরিবারের সদস্য নির্যাতন শুরু করে নববধূর ওপর। তাদের অব্যাহত নির্যাতন সইতে না পেরে অবশেষে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করে জীবনের ইতি টেনেছে ওই নববধূ।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চরবাটামারা গ্রামের। ওই গ্রামের মোকছেদ হাওলাদার বাদী হয়ে তার কন্যা ইসরাত জাহান ইতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় একই গ্রামের ফরিদ ভূঁইয়ার পুত্র সুজন ভূঁইয়া ও আতাউর রহমান আলাউদ্দীনসহ চারজনকে আসামি করেছেন।

মুলাদী থানার ওসি (তদন্ত) সাইদ আহমেদ তালুকদার জানান, নববধূ ইসরাত জাহান ইতি মৃত্যুর আগে চিরকুটে যৌতুকের জন্য তার স্বামী ও শ্বশুর পরিবারের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেছে। তিনি আরও জানান, তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সূত্রমতে, সুজন ভূঁইয়ার সাথে দশম শ্রেনীর ছাত্রী ইসরাত জাহান ইতির প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি তার (ইতি) পরিবার। একপর্যায়ে সম্প্রতি প্রেমিক যুগল অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর স্বামী সুজন ও তার পরিবারের লোকজনে ইতির বাবার বাড়ি থেকে মোটা অংকের টাকা যৌতুক আনার জন্য প্রায়ই নববধূকে মারধর করতো। তাদের অব্যাহত নির্যাতন সইতে না পেরে গত বুধবার দুপুরে চিরকুট লিখে নববধূ ইসরাত জাহান ইতি আত্মহত্যা করে।

(টিবি/এসপি/অক্টোবর ০৫, ২০১৮)