স্টাফ রিপোর্টার : গতবছর মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ দেন। প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা মামলা অন্যতম। কিন্তু মামলার চার্জশীটেই সাঈদীর নাম নেই!

সম্প্রতি ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা মামলার অভিযোগপত্র সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দাখিল করা হয়। এর আগে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে ওই মামলার এজাহার দাখিল করা হয়েছিলো। গত রোববার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি দরখাস্তের মাধ্যমে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আইনজীবী।

সাঈদীর আইনজীবী এসএম শাহজাহান দাবি করেন, ইব্রাহিম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগমের দায়েরকৃত এজাহার ও পুলিশের তদন্ত রিপোর্টে (অভিযোগ পত্র) ১৩ জন আসামির মধ্যে সাঈদীর নাম নেই। সাঈদীর বিরুদ্ধে আলোচিত অভিযোগ এই ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা। এ অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম পিরোজপুর এবং বরিশাল সফর করেন। সফর শেষে গত ৯ এপ্রিল তিনি আদালতে বলেন, পিরোজপুর এবং বরিশালের জেলা জজ আদালতে কোথাও এ মামলার কাগজ পাওয়া যায়নি। আসামি পক্ষ মমতাজ বেগমের মামলার নথি বলে যে ডকুমেন্ট জমা দিয়েছে তা জাল, মিথ্যা এবং মামলার প্রয়োজনে সৃজনকৃত। এ কাগজ বিবেচনায় না নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতবছর ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে দুটি অভিযোগ (ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসাবালী হত্যাকাণ্ড) সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ সাজা দেওয়া হয়। আরও ছয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হলেও ইতিমধ্যে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ায় এগুলোতে আলাদা করে দণ্ড দেননি ট্রাইব্যুনাল। অন্যদিকে দোষী সাব্যস্ত হলেও সাজা না হওয়া ছয় অভিযোগে সাঈদীর সাজা চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

(ওএস/এটি/ এপ্রিল ১৪, ২০১৪)