রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাংবাদিক মেহেদী আলী সুজয়ের গলায় ধারালো দা ধরে হত্যার হুমকি  ও সাংবাদিক হাফিজুর রহমান মাসুম বাড়ির সামনে গভীর রাতে সন্ত্রাসী বাহিনীর উপস্থিতির প্রতিবাদ ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে মানবন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 

শনিবার সকাল ১১টায় নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরার আয়োজনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জজ কোটের পিপি অ্যাড. ওসমান গনি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেজুতি, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, কেন্দ্রিয় জাসদের সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা স্বপন কুমার শীল, জাসদ নেতা শুধাংশু শেখর সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওহেদুজ্জামান টিটু, লোদী ইকবাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত ২৮সেপ্টেম্বর গভীর রাতে সাংবাদিক মেহেদী আলী সুজয় দৈনিক কালের চিত্র অফিস থেকে মোটর সাইকেলে পলাশপোলের বাড়ির সামনে আসা মাত্রই সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মধ্যে একজন তার গলায় দা ধরে জীবন নাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে একজন সাংবাদিক হাফিজুর রহমান মাসুম এর বাসার প্রাচীরের ভিতর থেকে বের হয়। পরে তারা সুজয়কে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়।

সাংবাদিক হাফিজুর রহমান মাসুম সাতক্ষীরায় যুদ্ধাপরাধ মামলার একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সাতক্ষীরার মামলাগুলোর সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। পাশাপাশি তিনি নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরাসহ একাধিক সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত। যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে সাতক্ষীরায় গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সদস্য সচিবের দায়িত্বও পালন করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে মাসুমকে হত্যার জন্য ওই সন্ত্রাসী বাহিনী ভাড়া করা হয়েছে।

বক্তারা অবিলম্বে ওই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনা এবং নাগরিক নিরাপত্তার দাবিতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

(আরকে/এসপি/অক্টোবর ০৬, ২০১৮)