আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বহু বিতর্কের পরও মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের ১১৪তম বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত প্রার্থী ব্রেট কাভানো। মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে কাভানোর নিয়োগকে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে শপথ নেন তিনি। প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ৫৩ বছর বয়সী এই নতুন বিচারপতিকে প্রথম সাংবিধানিক শপথবাক্য পাঠ করান।

এরপর কাভানো যার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন, সেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অ্যান্থনি কেনেডি পাঠ করান বিচারিক শপথবাক্য।

এর আগে শনিবার সিনেটে ৪৮ ভোটের বিপরীতে পক্ষে ৫০ ভোটের মধ্য দিয়ে কাভানোকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়।

ব্রেট কাভানোর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের আক্রমণ চলছিল এতদিন। তবে এসব অভিযোগ পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে এসেছেন তিনি। ওয়াশিংটনে কয়েকশ’মানুষ তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এফবিআইয়ের তদন্ত সাপেক্ষে ব্রেট কাভানোকে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন অধিকাংশ সিনেটর।

ব্রেট কাভানোর এই নিয়োগ আজীবন মেয়াদের। তার এই নিয়োগের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নয় বিচারপতি বিশিষ্ট সুপ্রিম কোর্টে কনজার্ভেটিভদের নিয়ন্ত্রণ জোরদার হলো। যে কোনো মার্কিন আইনের ক্ষেত্রে এই আদালতের কথাই শেষ কথা।

নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থীর মার্কিন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগ পাওয়াকে বড় রাজনৈতিক জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ০৭, ২০১৮)