টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাৎসব কে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন টাঙ্গাইলের প্রতিমা শিল্পীরা। শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় তুলির শেষ আঁচড়ে দেবী দূর্গাকে মোহনীয় করে তুলতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। এখন তারা শেষ মূহুতে দেবী দুর্গাকে রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমাকে ফুটিয়ে তোলার কাজ করছেন। তাই তাদের এখন দম ফেলার সময় নেই। এবার জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ১শ’ ৮৮টি ম-পে পূর্জা অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিকে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপুজা উদযাপনের জন্য প্রতিটি ম-পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যাক সদস্য মোতায়েত থাকবে। 

সরেজমিনে টাঙ্গাইলের কয়েকটি ম-প ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ এখন প্রতিমাকে ফুটিয়ে তুলার জন্য রং তুলির শেষ আচর দেয়ার কাজ করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। অনেকেই দেবী দুর্গার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। প্রতিমা দেখতে অনেকেই ম-পগুলোতে ভীড় করছেন।

টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সূত্রে জানা যায়, ১৭ অক্টোবর মহাঅষ্টমী ১৮ অক্টোবর মহানবমী অনুষ্ঠিত হবে। ১৯ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে এ দুর্গাপূজা শেষ হবে।

এ ব্যাপারে কথা হয় রাজবাড়ি থেকে আসা প্রতিমা শিল্পী অসীম পালের সাথে। তিনি বলেন, ‘প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। এখন চলছে প্রতিমাকে সাজানোর কাজ। শেষ মুহুতে দেবী দুর্গাকে রং তুলির মাধ্যমে সাজানোর কাজ করছি। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যেই সকল কার্যক্রম শেষ করতে পারেবা।’

তিনি আরো বলেন, আদালত পাড়ার পূর্জা ম-প ছাড়াও এবার দুর্গাপূজায় আমি ৬টি ম-পের প্রতিমা তৈরি করেছি। আশা করছি এতে বেশ লাভবান হবো। সংসারের যাবতীয় খরচ এর উপর নিভর করে।

তিনি আরো বলেন, আমি প্রায় ৮ বছর ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করছি। দেশের বিভিন্ন স্থানে আমি প্রতিমা তৈরির কাজ করে থাকি। গত বছর আমি ২টি ম-প তৈরি করেছিলাম। এতে আমার প্রায় ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল।

এ বিষয়ে কথা হয় টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার ঝন্টু সাথে।

তিনি বলেন, জেলায় এবার ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১হাজার ১শ’ ৮৮টি ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও প্রতিটি ম-পে পুলিশ এবং আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেবন। এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি আমাদের লোকজনও কাজ করবেন। এখন প্রতিমাকে সাজানোর শেষ মুহূতের কাজ চলছে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজা মন্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যাক আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্য মোতায়েত থাকবে। এ ছাড়া পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যও দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি আরো জানান, এছাড়া মোবাইল টিম, সাদা পোশাকে পুলিশও কাজ করবে। আশা করছি কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে পূর্জা অনুষ্ঠিত হবে।

(এনইউ/এসপি/অক্টোবর ০৭, ২০১৮)