স্পোর্টস ডেস্ক : রবিবার সকাল গড়াতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি ও কিছু বিচ্ছিন্ন স্ট্যাটাস ধীরে ধীরে ভাইরাল হতে থাকল। কালো সোয়েটার গায়ে দেয়া সাকিব আল হাসান অস্ট্রেলিয়ার কোনো এক হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সাদা বিছানায় শুয়ে। পেছনে নানা চিকিৎসা সরঞ্জাম সাজানো। দেখে বোঝাই যাচ্ছে সাকিব চিকিৎসকের শরণাপন্ন।

প্রিয় ক্রিকেটার, বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান অস্ট্রেলিয়ায় বাঁহাতের কনিষ্ঠা আঙুলের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন গত শুক্রবার রাতে। বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুরের মধ্যেই পৌঁছে যান অস্ট্রেলিয়ায়। অগণিত সাকিব ভক্ত উন্মুখ অপেক্ষায়- কেমন আছেন সাকিব? ইনফেকশনের কি অবস্থা? ভালোর দিকে নাকি আগের মতোই?

যাকে দেখানোর কথা, তাকে কি দেখানো সম্ভব হয়েছে? নানা কৌতূহলী প্রশ্ন। সেসব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর ঢাকায় বসে পাওয়া বেশ কঠিন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গুরু মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, দুয়েকজন কাছের বন্ধু এবং বিসিবি প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশিষের সাথে কম-বেশি কথা হচ্ছে সাকিবের। তার চিকিৎসার সর্বশেষ আপডেটও তাদের জানা।

তার খুব কাছের মানুষ, বিকেএসপির কোচ ও মেন্টর সালাউদ্দিনের সাথেই যোগাযোগ হচ্ছে সাকিবের। স্বপরিবারে কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়া সালাউদ্দিন আজ দুপুরে ঢাকা ফেরার পথে জানান, ‘সাকিবের সাথে আমার আজকেও কথা হয়েছে। আমার এক নিকট আত্মীয় মেলবোর্নে সাকিবের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে। সাকিব সেখানে এক ক্লিনিকে ৭২ ঘণ্টা ডাক্তারের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছে। সাকিব জানিয়েছে তার ইনফেকশনের অবস্থা দিনকে দিন ভালোর দিকে। আগামীকাল ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণ শেষে হয়তো জানা যাবে ডাক্তারের সত্যিকার ভাষ্য। তবে সাকিব আমাকে জানিয়েছে মেলবোর্নের যে বিশেষজ্ঞ তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন তিনি বলে দিয়েছেন আপাতত অপারেশন লাগবে না। ইনফেকশন ভালো হয়ে গেলেও অন্তত ছয় মাসের আগে সাকিবের বাঁহাতের কনিষ্ঠা আঙুলে সার্জারি করা যাবে না। তবে চিকিৎসক তাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন আড়াই থেকে তিন মাস পর সাকিব খেলতে পারবে। যদি এর মধ্যে ব্যথা করে তখন অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।’

কোচ সালাউদ্দিন আরও একটি তথ্য দিয়েছেন, তা হলো সাকিব আরো একাধিক স্পেশালিস্টের শরণাপন্ন হবেন। তার একজন সাকিবকে বলেছেন, আঙুলের ফ্র্যাকচারে সার্জারি না করে বিশেষ ধরনের চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা আছে। সেটা কার্যকর হলে ব্যথা অনুভূত হবে না। এমনকি অপারেশনও নাও লাগতে পারে।

এদিকে ঘটেছে আরেক ঘটনা। বিসিবি সাকিব ইস্যুতে ফিজিও এবং চিকিৎসকদের মিডিয়ার সাথে অবাধে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। বিসিবি চিকিৎসক ডা. দেবাশিষ জানিয়েছেন এখন থেকে বোর্ডের অনুমতি ছাড়া সাকিব ইস্যুতে বিচ্ছিন্ন কিংবা ব্যক্তিগত পর্যায়ে কথা বলা যাবে না। কয়েকদিন পরপর আমরা সাকিবের কাছ থেকে সর্বশেষ অবস্থা জেনে মিডিয়ার কাছে উপস্থাপন করবো।

ডা. দেবাশিষ তাই সাকিব ইস্যুতে তেমন তথ্য দিতে পারেননি। তবে একটি তথ্য নিশ্চিত করেছেন যেটা ডাক্তারি পরিভাষায়, সাকিবের আঙুলে ‘একটিভ ইনফেকশন’ আর নেই।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ০৭, ২০১৮)