আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের ছোট বগী পিকে গ্রামের জহিরুল ইসলাম (৩২) নামে এক ডিস ব্যবসায়ীকে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় তার বন্ধু লিমন খা মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে তার বাড়ির সামনে বসে কুপিয়ে হাত এবং পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।  খবর পেয়ে স্বজনরা এবং এলাকাবাসী তাকে রক্তাত্ব অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসলে অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাৎক্ষনিক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপালে প্রেরণ করে। 

আহত জহিরুল জানান, একই গ্রামের তার ফুফাত ভগ্নিপতি কালাম গাজীর নিকট থেকে পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের গাববাড়িয়া গ্রামের ছালাম খার ছেলে লিমন খা মটর সাইকেল বন্ধক রেখে ৩০ হাজার টাকা ধার নেন। ধারের এটাকা দিতে বিলম্ব হলে কালাম গাজী সম্প্রতি লিমনকে লাঞ্ছিত করে।

এ ঘটনায় জহিরুলের হাত থাকতে পারে এই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় লিমন খা এবং তার মা লুৎফা বেগম জরুরী কাজ আছে বলে মোবাইল ফোনে জহিরুলকে গাববাড়িয়া গ্রামের তাদের বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌছা মাত্র কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই লিমন খা জহিরুলকে ধারালো দা দিয়ে কোপাতে থাকে। এবং হত্যার চেষ্টা চালায়।

এক পর্যায়ে জহিরুল মাটিতে লুটিয়ে পরলে এলোপাথারি দায়ের কোপে বাম হাত ডান পায়ের হার কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এবং বাম কান কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় জহিরুলের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় এবং জহিরুলের স্বজনরা ছুটে এলে লিমন পালিয়ে যায়। তারা জহিরুলকে রক্তাত্ব অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে। জহিরুলের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাৎক্ষনিক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

আহত জহিরুল জানান, লিমন আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। আমার ঘাড়ে দা দিয়ে কোপ দেয়। আমি বাম হাত দিয়ে ঠেকানোর সময় আমার হাত কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমাকে হত্যা করতে না পেরে এলাপাথারি ভাবে কোপায়। এতে আমার ডান পাও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহত জহিরুলের ভাই মাসুম বিল্লাহ জানান, আমার ভাই জহিরুল এবং লিমন সহপাঠী এবং বন্ধু।

রবিবার সকালে আকস্মিক জহিরুলকে লিমন এবং তার মা লুৎফা বেগম মোবাইল ফোনে তাদের গাববাড়িয়া বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। লিমন খার ধারোলো দায়ের কোপে জহিরুলের বাম হাত এবং ডান পা বিচ্ছন্ন হয়ে গেছে। বাম কানের ও একই অবস্থা। আমরা এর বিচার চাই।

আমতলী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজরা জানান, জহিরুলের বাম হাত এবং ডান প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, বাম কানের ও একই অবস্থা। আমরা কোন রকম ব্যান্ডেজ করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করেছি। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলক চন্দ্র রায় জানান, ঘটনা আমি শুনে তাদের চিকিৎসার জন্য বলেছি। মামলা হলে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এন/এসপি/অক্টোবর ০৭, ২০১৮)