আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ১৪৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে বরিশাল বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পূজার আয়োজন চলছে আগৈলঝাড়া উপজেলায়। এসকল পূজা মন্ডপের মধ্যে ১শ ১৫টি মণ্ডপ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ প্রশাসন।

মণ্ডপগুলোর অনুকূলে সরকারি সাহায্য হিসেবে প্রতি মন্দিরে ৫শ কেজি করে জিআর চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস জানান, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে এবছর ১শ ৪৭টি পূজামন্ডপের মধ্যে ১শ ৪৪টি মন্ডপে পূজার আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বাকি তিনটি ‘বাসন্তী’ পূজা পরে অনুষ্ঠিত হবে।

এ সকল পূজা মন্ডপে সরকারী অনুদানের পাশপাশি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান স্থানীয় এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ নিজস্ব উদ্যোগে পূজা মন্ডপগুলোতে বরাবরের মতো এবারও অর্থ সহযোগিতা করবেন। তাতে প্রতি পূজা মন্ডপে সব মিলে অন্তত ২০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা সম্ভব হবে বলেও জানান সাধারণ সম্পাদক বিপুল দাস।

সূত্র মতে, রাজিহার ইউনিয়নে ৪২টি, বাকাল ইউনিয়নে ৩৪টি, বাগধা ইউনিয়নে ২২টি, গৈলা ইউনিয়নে ২২টি ও রত্নপুর ইউনিয়নে ২৪টি পূজামণ্ডপ তৈরী করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫টি পূজামণ্ডপ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও ৬০টি পূজামণ্ডপ কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ প্রশাসন।

অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পূজামণ্ডপগুলোর মধ্যে রাজিহার ইউনিয়নে ১৫টি, বাকাল ইউনিয়নে ১৪টি, বাগধা ইউনিয়নে ৯টি, গৈলা ইউনিয়নে ৯টি ও রতœপুর ইউনিয়নে ৮টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। ্অগেলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা জানান, পূজায় জঙ্গী তৎপরতাসহ যেকোন ধরণের নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি ১৪১জন পিসি’র অধীনে ১৪১জন এপিসি, ৬৫১জন পুরূষ আনসার ও ৪৫৫জন মহিলা আসারসহ মোট ১৩৮৮জন আনসার সদস্য পূজামন্ডপে আইন শৃংখলার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।

এছাড়াও সার্বক্ষণিক র‌্যাব ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থ্রা টহল অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, নির্বিঘেœ পূজা সম্পন্ন করতে সকল পর্যায়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পাশাপাশি দশমী পূজা শেষে এ বছর অরক্ষিত মন্দিরগুলোর দেবী প্রতীমা বিসর্জন দিতে পূজা মন্ডপীদের কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অমান্যকারীরা পরবর্তিতে কোন প্রকার ক্ষয় ক্ষতির সন্মুখিন হলে এর সকল দায় দ্বায়িত্ব তাদেরই বহন করতে হবে বলেও জানান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস।

(টিবি/এসপি/অক্টোবর ০৮, ২০১৮)