কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকতাদিরুল আহমেদ। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার হোসেন ভূঞা।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো: মোফাজ্জাল হোসেন ভূঞা, কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইমারত হোসেন গাজী, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম. মো: মনিরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মো: মজিবুর রহমান বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক উপজেলা কমান্ডার মো: বজলুর রহমান, কেন্দুয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সমকাল সাংবাদিক সমরেন্দ্র বিশ্ব শর্মা, পূঁজা উদযাপন কমিটি কেন্দুয়া উপজেলা শাখার (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি অনিল চন্দ্র ভদ্র, সাধারন সম্পাদক রাখার বিশ্বাস, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক দুলাল কান্তি চৌধুরী, কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সেকুল ইসলাম খান, কেন্দুয়া হরি সভা দূর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি ডা. দিলীপ পোদ্দার, সাধারন সম্পাদক শিক্ষক সুশেন সাহা, প্রভাষক সমির কুমার শর্মা রায়, আমতলা পূজা কমিটির সভপতি চন্দন কুমার সরকার, সাজিউড়া দেব মন্দির পূজা কমিটির সভাপতি উৎপল বিশ্বাস জয় ও কুমারুড়া পূজা কমিটির সভাপতি উজ্জ্বল সরকার প্রমুখ।

সভায় দূর্গা পূজার সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে ওসি বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা এবং সন্ধ্যা থেকে সকাল সারাক্ষণ আমাদের পাবেন। যখনি ফোন করবেন, তখনই আমরা গিয়ে হাজির হব। তাছাড়া সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার দায়িত্বেও পূজা মন্ডপ প্রাঙ্গণে থাকবে পুলিশ আনসার কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা। পূজাঁ মন্ডপ গুলোতে যাতে সন্ধ্যার পর কোন আলোর সমস্যা না হয় সে জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখার দাবী তোলা হয়। অপর দিকে পূঁজা মন্ডপ গুলোতে সংযোগকারী রাস্তা মেরামতে করে দেয়া হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়।

সভায় সাংবাদিক সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মার প্রস্তাবে উপজেলা পরিষদ থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমন্বয়ে ৪০টি পূঁজা মন্ডপে সরকারি বরাদ্দের বাইরে প্রতিটিতে ২০০০ টাকা করে অনুদান ঘোষণা করা হয়। সভায় বলা হয় ধর্ম যার যার উৎসব সবার প্রধানমন্ত্রীর এ বানীকে হৃদয়ে ধারন করে সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি বজায় রেখে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের বিষয়ে একমত পোষন করা হয়।

সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ঠকারী ও বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী সহ মাদকাসক্ত কোন ব্যক্তি পূঁজা মন্ডপের পরিবেশ নষ্ট করতে চাইলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। তাই আসুন ধর্ম যার যার উৎসব সবার প্রধানমন্ত্রীর এ বানীকে আমরা কাজে লাগিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে দূর্গা পূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের পরিবেশ তৈরি করি।

(এসবি/এসপি/অক্টোবর ০৮, ২০১৮)