উজ্জ্বল হোসাইন : স্বাভাবিক হয়ে উঠছে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌ-রুটের ফেরি সার্ভিস। এই রুটের ৩টি ফেরিই এখন চলছে। চাঁদপুর ফেরি সংযোগ রাস্তা সংস্কার করার পর এখন চলছে শরীয়তপুর সড়কের উন্নয়ন কাজ। ফলে দিন দিন বাড়ছে গাড়ির চাপ। ৮ অক্টোবর দুপুরে হরিণা ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাটের টার্মিনাল মাঠে অনেক গাড়ি। রাস্তার উপর গাড়ির সিরিয়াল। পরিবহনের বাসও যাত্রী নিয়ে এপার-ওপার পারাপার হচ্ছে। শরীয়তপুর ঘাটেও ফেরিতে উঠার জন্য বিভিন্ন যানবাহনের লম্বা লাইন।

বিআইডাব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিনা ফেরিঘাট ব্যবস্থাপক পারভেজ খান জানান, এখন ফেরি সমস্যা নাই। শরীয়তপুর সড়কের ২৫ কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলমান আছে। রাস্তার কাজ পুরোপুরি হয়ে গেলে এ রুটে গাড়ির সংখ্যা আরো বাড়বে। সাথে সাথে সরকারের রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে। এ রুটের জন্যে দেয়া ফেরি ৩টি কেতকী, করবী ও কস্তুরী চলাচল করছে। আগের চেয়ে স্বাভাবিক আছে ফেরি সার্ভিস। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, চাঁদপুর-শরিয়তপুর নৌ-রুটে রো-রো ফেরি চলবে। দুই জেলার ফেরিঘাট মুখী রাস্তা পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ এখানে আরিচাঘাটের মত রো-রো ফেরি এখানে দেয়া হবে। ইতিমধ্যে দুইপাড়ের জন্য দুটি রো-রো ফেরি পন্টুন দেয়া হয়েছে। এই পন্টুন স্থাপনের কাজ চলমান আছে।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের মাঝামাঝিতে চাঁদপুরের মেঘনা নদীর ওপর চট্টগ্রাম ও মংলা সমূদ্র বন্দরের সাথে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যকার সড়ক যোগাযোগের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার এই ফেরি সার্ভিসটি চালু করেন এবং এর উদ্বোধনও করেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রায় ১৭ বছর যাবত নানা সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে এই ফেরি সার্ভিসের কার্যক্রম চলে আসছে। এবার বর্ষায় রাস্তার শোচনীয় অবস্থা ছিল। এখনো আছে ঘাট ও রাস্তা সমস্যা এবং নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কা। বর্ষার পানি কমতে শুরু করেছে, নাব্যতা সংকট আছে কিনা সামনে বুঝা যাবে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি সার্ভিসের হরিনাঘাটের বর্তমান অবস্থা। পাশে রো-রো ফেরির জন্য আনা পন্টুন।

(ইউ্এইচ/এসপি/অক্টোবর ০৮, ২০১৮)