কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনা ওয়ান ইলিভেনের সময় যখন কারাগারে অন্তরিন ছিলেন, সে সময়ে তাঁর মুক্তির জন্য খুব কম মানুষই কথা বলতে পেরেছেন। সেই সময় মফস্বল সাংবাদিকতার দুঃসাহসিক কান্ডারী প্রবীর সিকদার ‘আমার বোন শেখ হাসিনা’ এই বইটি রচনা করে সারা দেশে এই বই নিয়ে আলোচনা করেন এবং সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করেন। এই দুঃসাহসিক প্রবীর সিকদারকে ফরিদপুর সদর আসন থেকে নৌকা প্রতীক মনোনয়ন দেয়ার জন্য দাবি তুলেছেন নেত্রকোনা কেন্দুয়ার সাংবাদিক সমাজ। 

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সেই দুঃসময়ের সময় প্রবীর সিকদার কেন্দুয়ায় এসে শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রেখেছিলেন। এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, কবি ও গীতিকার সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। কেন্দুয়া প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সেদিন প্রবীর সিকদারের দাবি একটাই ছিল নিঃশর্ত ভাবে শেখ হাসিনার মুক্তি চাই।

কেন্দুয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কামরুল হাসান ভূঞা বলেন, সেদিন প্রবীর সিকদার শেখ হাসিনার মুক্তির দাবীতে সারা দেশে যেভাবে ঘুরে বেড়িয়েছেন তাঁর দাবির প্রেক্ষিতে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে এক উদ্দীপনা ও জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল। আপদমস্তক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালীত শেখ হাসিনা অন্তপ্রাণ রাজাকারদের বোমাহামলায় একটি হাত ও পা হাড়ানো সাহসী সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবি তোলেন।

শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তারা বলেন, সারা দেশে অনেক নেতার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেবেন কিন্তু আমাদের সাংবাদিক সমাজের সুশিল সমাজের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রবীর সিকদারের হাতে একটি নৌকা তুলে দিন।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, প্রবীর সিকদার এমপি নির্বাচিত হলে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে প্রবীর সিকদার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরো শানিত করবেন এবং মহান সংসদে গিয়েও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথাই তুলে ধরবেন।

(এসবি/এসপি/অক্টোবর ১০, ২০১৮)