শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলি ধেঁয়ে আসায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে। 

ঘূর্ণিঝড় তিতলি’র তান্ডব মোকাবেলায় বুধবার দুপুরে প্রস্তুতিমূলক সভা করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরে বিশেষ সতর্ক বার্তা ঘোষণা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সতর্কতার কারণে মোংলা বন্দরে বিদেশী জাহাজ আগমন ও নিগর্মন বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় তিতলি’র প্রভাবে বুধবার সকাল থেকে বাগেরহাটসহ মোংলা বন্দর আশপাশ উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হযেছে। জেলার অভ্যন্তরীন রুটে সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এদিকে বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পড়ছে বিশাল বিশাল ঢেউ। সুন্দরবনের সকল পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ।

সুন্দরবনের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাগেরহাটের সকল উপজেলাসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ কবলিত শরণখোলা,মোংলা, মোড়েলগজ্ঞ ও রামপালের স্থানীয় প্রশাসন বুধবার বিকেলে জরুরী বৈঠক করে সকল আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার মো. দুরুল হুদা জানান, ৪ নং স্থানীয় হুশিয়ারী সংকেত জারির পর বুধবার দুপুরে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরে ঘোষনা করা হয়েছে রেড এলার্ট-২। ঘূর্ণিঝড় সতর্কতার কারণে বন্দরে বিদেশী জাহাজ আগমন ও নিগর্মন বন্ধ রাখা হয়েছে। জাহাজগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে র্নিদেশ দেয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে বন্দর জেটিতে অবস্থানরত সকল বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস কাজ দ্রুত শেষ করা হচ্ছে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ঘূণিঝড়ের আগাম সর্তকতা হিসেবে সুন্দরবনের সকল পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ। সুন্দরবনের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘূর্ণিঝড় তিতলি তান্ডব থেকে বাচতে নিরাপদ আশ্রয়ে বলা হয়েছে। বন বিভাগের সকল নৌযান নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় তিতলি প্রভাবে মোংলা বন্দরসহ বাগেরহাট জেলার নদ-নদী উত্তাল হয়ে পড়ায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

(এসএকে/এসপি/অক্টোবর ১০, ২০১৮)