আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : আমতলী ইউনিয়নের বান্দ্রা গ্রামে ওয়াকফ এষ্টেটের প্রায় পাঁচ একর কৃষি জমি জোর পূর্বক দখল করে মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধা নামে এক ব্যক্তি মেসার্স জিমি ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা নির্মান করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

বুধবার সকালে জমির মালিক মরহুম মজিবুর রহমান তালুকদারের মেয়ে শাহিদা আক্তার সুমি তালুকদার আমতলী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করে এ অভিযোগ করেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, আমতলী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: মোতাহার উদ্দিন মৃধা, জমির আরেক মালিক রুপক তালুকদার, বর্গাচাষী রমেন হাওলাদার, মস্তাফা হাওলাদার ও সোহেল মৃধা।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তেব্যে শাহিদা আক্তার সুমি তালুকদার বলেন, আমতলীর বান্দ্রা গ্রামে আবুল কাসেম তালুকদারের ওয়াকফ এষ্টেটের পাঁচ একর কৃষি জমি রয়েছে। এই জমির পৈত্রিক সূত্রে মালিক মরহুম মজিবুর রহমান তালুকদারের ছেলে রুপক তালুকদার ও আমি শাহিদা আক্তার সুমি তালুকদার। এই জমি জোর পূর্বক দখল করে আমতলী নতুন বাজার বাঁধঘাট এলাকার বাসিন্দা মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধা জমির ফসল এবং বিভিন্ন প্রজাতির শত শত গাছপালা উপরে ফেলে সেখানে জিমি ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা নির্মান করেন। ইট ভাটা নির্মানে আমরা বাঁধা দিলে নয়ন মৃধা আমাদেরকে মারধর এবং মাটি কাটার যন্ত্র ভেকু দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আমরা আমতলী থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলাও করি।

এছাড়া আমরা আমাদের প্রাপ্য জমি ফিরে পেতে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মোতাহার উদ্দিন মৃধা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর শরনাপন্ন হলে তারা শালিশ বৈঠক করে এবং কাগজ পত্র যাচাই বাচাই করে আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। কিন্তু আবুল বাশার নয়ন মৃধা সে রায় অমান্য করে জোর পূর্বক জমি দখল করে ইট ভাটা নির্মানের কাজ অব্যাহত রেখেছেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ওয়াকফ এষ্টেটের অতিরিক্ত সচিব মো: শহিদুল আলম ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর বরগুনার জেলা প্রশাসক ও জেলা ওয়াকফ এষ্টেটের সভাপতিকে ওয়াকফ এষ্টেটের জমিতে পুকুর খনন বন্ধ ও ইটভাটা নির্মান বন্ধের জন্য চিঠি প্রদান করেন কিন্তু আবুল বাশার নয়ন মৃধা সে চিঠিও অমান্য করে তার ইট ভাটা নির্মান এবং পুকুর কাটা অব্যাহত রাখেন।

সংবাদ সম্মেলনে সুমি তালুকদার আরো বলেন, নয়ন মৃধা স্থানীয় ভাবে একজন ভূমি দস্যু, কালো টাকার মালিক তিনি বিভিন্ন অন্যায় কাজের সাথে জড়িত। তিনি সরকারী কাজে আর্নেষ্ট মানি হিসেবে ভূয়া পে-অর্ডার জমা দিয়ে হাজত বাসও করেন। এছাড়া তিনি আমার বর্গাচাষী রুমেন হাওলাদার, সোহেল মৃধা ও মস্তফাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়ে হয়রানি করে আসছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমরা জমি দাবী করলে সে আমাদের মাদক মামলায় জড়িয়ে হয়রানিরও হুমকি প্রদান করেন।

সংবাদ সম্মেলনে শাহিদা আকতার সুমি তালুকদার তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এছাড়া তিনি বলেন, আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। যে কোন সময় আবুল বাশার নয়ন মৃধা আমাদের মিথ্যা মামলা ও হামলা করে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত বিষয়ে জানতে চাইলে, মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা আমি কারও জমি দখল করিনি। আমার ক্রয় করা জমিতে সরকারী নিয়ম মাফিক ইট ভাটা নির্মান করেছি।

(এন/এসপি/অক্টোবর ১০, ২০১৮)