বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার নলধা মৌভোগ গ্রামের চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ি রুস্তম আলী মাতুব্বরকে গুলি করে হত্যার দায়ে ৩ জনকে ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম সোলায়মান এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক একই সাথে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। এই মামলায় ইমরুল নামের একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালাত।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে জিহাদ শেখ ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর মধ্যে আব্দুর রউফ নামে ২ জন আদালতে উপস্থিত ছিল। অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছে।

ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামীরা হলো, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার নলধা গ্রামের নেপাল মণ্ডলের ছেলে তপন মণ্ডল, সুলতান শেখের ছেলে জিহাদ শেখ, সুশান্ত মণ্ডলের ছেলে অতনু মণ্ডল।
যাবজ্জীবন দন্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন, ফকিরহাট উপজেলার নলধা মৌভোগ গ্রামের আফসার শেখের ছেলে আব্দুর রউফ, ডহর মৌভোগ গ্রামের অধীর হীরার ছেলে ত্রিনাথ হীরা, কুমোদ ঢালীর ছেলে নরেশ ঢালী, মহানন্দ হীরার ছেলে শিব শংকর হীরা, রজব বালার ছেলে কৃষ্ণ বালা, মধ্য মৌভোগ গ্রামের মোছলেম গাজীর ছেলে বাহাউদ্দিন গাজী।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ টার দিকে ফকিরহাট উপজেলার নলধা মৌভোগ গ্রামের সায়েদ আলী মাতুব্বরের ছেলে চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ি রুস্তুম আলীর বসত ঘরে ঢুকে আসামীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরের দিনে নিহতের ভাই জয়নাল মাতুব্বর বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে ফকিরহাট থানায় হত্যা মামলা দাযের করে। মামলা দায়েরের এক বছর পর তদন্ত কর্মকর্তা মো. আসাদ আলী ১০ আসামীকে অভিযুক্ত করে ২০০৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদলত এই রায় প্রদান করে।

(একে/জেএ/জুলাই ১৭, ২০১৪)