নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় এক স্কুল ছাত্রীর যৌন হয়রানির ভিডিও চিত্র ধারন করে ১ লক্ষ টাকা দাবী করে তিন বন্ধু। দাবীকৃত টাকা না পেয়ে ওই তিন বন্ধু ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ মেহেদী হাসান (২২) নামের এক যুবককে আটক করেছে।

আটককৃত যুবক উপজেলার ইতনা গ্রামের কিসলু মোল্যার ছেলে এবং সে লোহাগড়া এম এ হক কারিগরি কলেজের ছাত্র। অন্য দুইজন হল একই গ্রামের গোলজার মোল্যার ছেলে আনোয়ার মোল্যা (২৪) ও টুকু মোল্যার ছেলে বাঁধন মোল্যা (২৩)

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বখাটে মেহেদী হাসান একই গ্রামের অষ্টম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। কিন্তু ওই ছাত্রী তা প্রত্যাখান করায় পিছু নেয় মেহেদী হাসান। এক পর্যায়ে গত ৬ অক্টোবর বিকালে বাড়ীর পাশের একটি মুদি দোকান থেকে ফেরার পথে মেহেদী, আনোয়ার ও বাঁধন ওই ছাত্রীকে ধরে নিয়ে পাশ্ববর্তী একটি বাঁশ বাগানের মধ্যে নিয়ে মেহেদী জড়িয়ে ধরে চুমু খায় এবং যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। এ সময় মেহেদীর দুই বন্ধু আনোয়ার মোল্যা ও বাঁধন মোল্যা যৌন হয়রানির দৃশ্যটি মোবাইল ফোনে ভিডিও করে । বিষয়টি ওই ছাত্রী বাড়ীতে গিয়ে তার মা-বাবাকে জানায়। পরে ওই ছাত্রীর মা-বাবা মেহেদীর পরিবারের কাছে অভিযোগ করে বিচার প্রার্থনা করে । এতে ক্ষীপ্ত হয়ে মেহেদী ও তার দুই বন্ধু যৌন হয়রানির ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয় এবং ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে গত শুক্রবার রাতে আটক করেছে । এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর মা রঞ্জু বেগম বাদী হয়ে গত শনিবার তিন জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

লোহাগড়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ব্যাপারে শনিবার বিকালে অভিযোগ পেয়েছি, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে ।

(আরএম/এসপি/অক্টোবর ১৩, ২০১৮)