রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : দুর্নীতি, দূঃশাসন, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্টায় অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখা রোববার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামালের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে। এর আগে ও পরে তারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে।

স্মারকলিপিতে নির্বাচন ঘোষণার আগে সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালিন নিরপেক্ষ সরকার গঠণ করা, বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠণ করা, তপশীল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা, নির্বাচনের দিন সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। নির্বাচনে সকল দলের জন্য সমান সুযোগ দেওয়া, রেডিও টিভিসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমকে সমান সুযোগ দেওয়া, রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সব ধরণের জুলুম বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবি জানানো হয়।

এর আগে ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশে দলীয় আমীরের ঘোষণা অনুযায়ি রোববার সকাল ১০টায় একাডমী মসজিদ চত্বরে দলীয় নেতা কর্মীরা সমবতে হয়। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে সাতক্ষীরা কালেক্টরেট চত্বরে যেয়ে শেষ হয়। সেখানে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি শেষে মিছিলটি একাডেমী মসজিদে ফিরে আসার সময় থানা মসজিদের সামনে এলে পুলিশের বাধায় শেষ হয়।

মিছিলে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার গর্জে উঠুক হাতিয়ার’, ‘জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালিন নিরপেক্ষ সরকার গড়তে হবে’ এসব স্লোগান দেওয়া হন।

মিছিলে অংশ নেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ও সাতক্ষীরা সদর আসন থেকেদলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হাফেজ মাওলানা মুফতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তোছাদ্দেক হোসেন, সাতক্ষীরা -১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী মাওলানা আসাদুল হক, সাতক্ষীরা-৩ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ডাঃ মোঃ ইসহাক, দলীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। পরে তারা একাডেমী মসজিদে এক দোয়া অনুষ্ঠানে মিলিত হন।

তবে মিছিলে ‘জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালিন নিরপেক্ষ সরকার গড়তে হবে’ এ স্লোগান সরকার বিরোধী কিনা জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোছাদ্দেক হোসেন জানান, এটা তাদের দলীয় স্লোগান নয়, কিছু নতুন ছেলে ভুল করে এ ধরণের স্লোগান দিয়েছে। এজন্য তারা ক্ষমাপ্রার্থী।

(আরকে/এসপি/অক্টোবর ১৪, ২০১৮)