চন্দন সাহা, লাকসাম (কুমিল্লা) : কুমিল্লার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে বইছে খুশির আমেজ। এবার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ৪৭টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ দুর্গোৎসব ১৫ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ১৯ অক্টোবর শুভ বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

৫ দিনব্যাপী এ বৃহৎ ধর্মীয় উৎসবে লাকসাম-মনোহরগঞ্জের ৪৭টি পূজা মন্ডপে চলছে আড়ম্বরপূর্ণ দুর্গোৎসব।এর মধ্যে লাকসাম পৌরসভার ভিতর নুতন করে দক্ষিণ লাকসাম দারোগা বড়ি পূজা মন্ডপসহ ১৮টি এবং পৌর শহরের বাহিরে ১৬টি মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মনোহরগঞ্জে ১৩টি মন্ডপে এবার দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর দেবী দুর্গার ঘোটকে আগমন এবং দোলায় গমন।

সরেজমিনে পূজা মন্ডপে ঘুরে দেখা যায়,লাকসাম কালি বাড়ি,উত্তর বাজার বণিক্য বাড়ি,জগন্নাথ দেবালয়, দক্ষিণ লাকসাম পেয়ারী সাহার বাড়ি,দারোগা বাড়ি,সুভাষ বনিকের বাড়ি,বাইপাস রাজরাজেস্বরী মন্দির,পশ্চিমগাঁও সাহাপাড়াসহ বিভিন্ন মন্ডপে ভক্তবৃন্দ পুজায় ব্যস্ত সময় পার করছে।অনেক পাড়া মহল্লায় কিংবা বাসাবাড়ির পারিবারিক মন্দিরগুলোতেও খুব জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিভিন্ন সাজে সাজিয়ে দুর্গা প্রতিমা।
অপরদিকে এবারও মহাঅষ্টমী তিথিতে লাকসাম জগন্নাথ দেবালয় পূজা মন্ডপে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ ।

লাকসাম উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক দূর্জয় সাহা জানান,গতবারের চেয়েও এ বছর আরও জাঁকজমকপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে।অতীতের মতো সকল ধর্মের লোকজন এবারও উৎসবে অংশগ্রহণ করে সম্প্রীতি বজায় রেখেছে।বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।

লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোজ কুমার দে জানান, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রশাসনিকভাবে কঠোর নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া প্রতিটি পূজা মন্ডপে সার্বিক নিরাপত্তায় সহযোগিতা করার জন্য মোবাইলটিম টহলরত থাকবে।এছাড়া সাদা পোশাকেও পুলিশের সদ্যসরা নিয়োজিত রয়েছে।

(সিএস/এসপি/অক্টোবর ১৫, ২০১৮)