স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীসহ সারাদেশের ৩৬ সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি আজ (সোমবার) থেকে শুরু হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুসারে আজ সকাল থেকেই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সুযোগপ্রাপ্ত স্ব স্ব কলেজে ভর্তির জন্য উপস্থিত হন। এ সময় কলেজ অধ্যক্ষ, উপাধক্ষ্য ও সিনিয়র শিক্ষকরা তাদের স্বাগত জানান। সংক্ষিপ্ত পরিচিতি শেষে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা শেষে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করা হয়। নবীন এসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে কলেজ মুখরিত হয়ে উঠে।

বিভিন্ন কলেজের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকল কলেজে ভর্তি আজ থেকে শুরু হলেও কলেজভেদে আগামী এক সপ্তাহ ধরে ভর্তি কার্যক্রম চলবে। ভর্তির জন্য ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

আজ সকালে সরেজমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে দেখা গেছে, প্রিন্সিপালের কক্ষের বাইরে সুযোগপ্রাপ্ত ২০/৩০ জন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অপেক্ষা করছেন। ভেতরে কয়েকজন শিক্ষক এক এক করে শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছেন। এর আগে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খান মো.আবুল কালাম আজাদ ও উপাধক্ষ্য শফিকুল আলম চৌধুরীসহ সিনিয়র শিক্ষকরা সংক্ষিপ্ত পরিচিত পর্বে তাদের স্বাগত জানান।

উপাধক্ষ্য শফিকুল ইসলাম জানান, ২২০ জনের মধ্যে প্রথমদিন শীর্ষ ৪০ জনকে ভর্তির জন্য ডাকা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন ভর্তি চলবে।

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ/প্রশংসাপত্র, জেলা কোটা দাবির ক্ষেত্রে স্থানীয় সিটি করপোরেশন মেয়র/পৌরসভার চেয়ারম্যান/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনারের নাগরিক সনদপত্র, চার কপি সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি, পার্বত্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ ও জেলা প্রশাসকের সনদ ও অ-উপজাতীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ বা জেলা প্রশাসকের সনদপত্র, অন্যান্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে গোত্র প্রধান ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক প্রদত্ত সনদপত্র আনতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্বপক্ষে ১৯৯৭-২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তৎকালীণ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত সনদ বা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের পর থেকে মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী ও সচিব স্বাক্ষরিত সনদ। মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যাদের পুত্র-কন্যার ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নম্বর (০৫.১৭০.০২২.০৭.০১.০১৪.২০১১-১৮) তারিখ ৯ মে ২০১১-এ জারিকৃত বিধি অনুসরণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারী ৬৫ হাজার ৯১৯ জনের মধ্যে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ২৬ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৬৫ হাজার ৯১৯ জন। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ১০০ নম্বর ও পরীক্ষার ১০০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরসহ মোট ২০০ নম্বরের ওপর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে জাতীয় মেধাতালিকা প্রণীত হয়। শীর্ষে থাকা চার হাজার ৬৮ জন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে। অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে ৫০০ জনকে।

১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রের ভর্তি পরীক্ষায় এসব শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর ৮৭ ও সর্বনিম্ন ৫৭। ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে নেয়া পরীক্ষায় পাস নম্বর ছিল ৪০। এই পাস নম্বর পেয়ে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ২৪ হাজার ৯৬৮ জন।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ১৫, ২০১৮)