ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর জেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাদক ব্যবসায়ী মেহেদি হাসান মুন্নাকে ইয়াবাসহ আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ওই সময় পুলিশ মুন্নার সহযোগী রাকিবকেও আটক করে। গত ১০ অক্টোবর আটকের পর একজন মন্ত্রীর এপিএস এবং ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুন্নাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু থানা পুলিশের শক্ত অবস্থানের কারণে সেই চেষ্টা সফল হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, ৫৬পিস ইয়াবাসহ মুন্না আটক হলেও অব্যাহত চাপাচাপির মুখে পুলিশ মামলায়  ইয়াবা সংখ্যা কমিয়ে ২০টি করে দেয়। এখন মুন্না ও তার সহযোগী রাকিব ফরিদপুর জেলা কারাগারে রয়েছে। 

এই ঘটনার পর একজন এপিএস ও ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ভোট কাটা চেয়ারম্যান নামে খ্যাত সহিদুল ইসলাম মজনু পুলিশ প্রশাসনের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছেন যুবলীগ নেতাকে জামিনে বের করে নেওয়ার জন্য। ওই চাপের অংশ হিসেবে মন্ত্রীর এপিএস এবং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুলিশের ওপর হুমকি অব্যাহত রাখছেন, কেন মুন্নাকে গ্রেফতার করা হলো, কেন তার বিরুদ্ধে মামলা হল আর কেনই বা তাকে জেলহাজতে পাঠানো হল! কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের দৃঢ়তায় এখনো তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেনি ওই প্রভাবশালী মহলটি।

এলাকায় সরেজমিনে কথা বলে জানা যায়, এক এপিএসের প্রশ্রয়েই চলছে ওই মাদক ব্যবসা। ঈশান গোপালপুরের ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম মজনু এপিএসের হয়েই এলাকায় মাদক ব্যবসা দেখভাল করেন। এলাকায় সাঁটানো একটি পোস্টারেও দেখা যায়, আটক মুন্নার সাথে এপিএস ও ইউপি চেয়ারম্যানের ছবিও রয়েছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের ওই সিন্ডিকেটের কারণেই সদিচ্ছা থাকা সত্বেও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেন না।

এ ব্যাপারে মোবাইল টেলিফোনে কথা বলা হয় ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদের সাথে। তিনি অকপটে মুন্নার যুবলীগ সংশ্লিষ্টতা ও মাদক ব্যবসার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা অনেকদিন ধরেই তাকে সতর্ক করে আসছিলাম। কিন্তু সে আমাদের কোনো কথায় কর্ণপাত করেনি। যুবলীগ নেতা হিসেবে তার মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার বিষয়টি আমাদের জন্য লজ্জার ও বিব্রতকর। আমরা অবশ্যই মুন্নার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

(পিএস/এসপি/অক্টোবর ১৫, ২০১৮)