সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের পাটেশ্বরী নদীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সোমবার দুপুরে তিনটি মাছ ধরা বাঁধ অপসার করা হয়েছে। 

এ সময় আদালত ১০ হাজার মিটার ওজনের ১ লাখ টাকার মূল্যের কারেন্ট জাল আটক করে জনতার সামনেই নদীর তীরে আগুনে পুড়ে ভস্মিভুত করে দেয়। একই সময় বাঁধ নদীতে বাঁধ দিয়ে কারেন্ট জালের মাধ্যমে মাছ ধরার অপরাধে বেজগাও গ্রামের সোহাগ মিয়ার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা জরিমানাও আদায় করেছে আদালত।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা: শিরিন সুলতানা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, কেন্দুয়া থানা পুলিশের এস.আই রায়হান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। পাটেশ্বরী নদীতে মুক্ত জলাশয়ে একটি প্রভাবশালী চক্রের সহায়তায় নদীতে বাঁধ দিয়ে কারেন্ট জালের মাধ্যমে মাছ ধরে আসছিল কতিপয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন জানান, বাঁধ অপসারনের জন্য বেশ কয়েকবার মৌখিক এবং লিখিত ভাবে নোটিশ দিলেও তারা বাঁধ সরিয়ে নিচ্ছিলনা। পরে ১৯৫০ সনের মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষন আইনে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বাঁধ অপসারন করা হয়েছে এবং আটককৃত কারেন্ট জাল আটক করে আগুনে পুড়ে দেয়া সহ সোহাগ মিয়ার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা জরিমানাও আদায় করেছে আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত এ সময় জেলেদের ধরা মাছ আটক করে নিয়ে আসে পরে মাছগুলো স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরন করে দেয়।

এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার হোসেন ভূঞা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকতাদিরুল আহমেদ, কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র মো: আসাদুল হক ভূঞা ও অফিসার ইনচার্জ ইমারত হোসেন গাজী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

(এসবি/এসপি/অক্টোবর ১৫, ২০১৮)