বাগেরহাট প্রতিনিধি : তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৬২তম জন্মবার্ষিকী মঙ্গলবার পালিত হয়েছে। 

বাংলাদেশের কবিতায় অবিসস্মরণীয় এই কবির শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি-স্বীকৃতি। ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাটের মোংলায় মিঠাখালীর কবির গ্রামের বাড়ীতে রুদ্র স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে শোভাযাত্রা সহকারে কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করেছে। এছাড়া বিকেলে মিঠাখালি ফুটবল মাঠে এক প্রীতি ফুটবল খেলা ও সন্ধ্যায় রুদ্র স্মৃতি সংসদ কার্যালয়ে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। স্মরণসভা শেষে রুদ্রের কবিতা আবৃত্তি ও রুদ্রের গান পরিবেশিত হয়। এছাড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মোংলা শাখা সকালে মোংলা সরকারী কলেজ মিলনায়তনে কবির স্মরণে স্মরণসভার আয়োজন করে।

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি ৭টি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন।

‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দু’বছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।

(এসএকে/এসপি/অক্টোবর ১৬, ২০১৮)