নওগাঁ প্রতিনিধি : বুধবার রাতে নওগাঁর সাপাহারে হাসান আলী নামে এক মাছ চাষীর দীঘিতে কে বা কারা শত্রুতা মুলকভাবে কীটনাশক প্রয়োগ করে প্রায় ২৫লক্ষাধিক টাকার কয়েক’শ মণ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করেছে।

জানা গেছে, নিশ্চিন্তপুর দীঘির হাট রাস্তার পার্শ্বে অবস্থিত বহু পুরনো আমলের ৫একর জলাশয় বিশিষ্ট নিশ্চিন্তপুর দীঘিটি উপজেলার কোচকুড়লিয়া গ্রামের মৃত সাজির উদ্দীনের পুত্র মো. হাসান আলী ৩/৪মাস পূর্বে দীঘির মালিকদের কাছ থেকে তিন বছর মেয়াদে লীজ গ্রহণ করে তাতে বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করে। বর্তমানে ওই দীঘির প্রতিটি মাছের ওজন প্রায় ১কেজি থেকে ৫কেজি।। দীঘিটি বিভিন্ন প্রজাতীর অসংখ্য মাছে ভর পুর ছিল।

হঠাৎ করে রাতের অন্ধকারে শত্রুতা করে কে বা কারা তার ব্যাপক ক্ষতির উদ্দেশ্যে ওই দীঘিতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কীট নাশক প্রয়োগ করে। বৃহস্পতিবার সকালে দিঘীতে অসংখ্য মাছ মরে ভেসে উঠলে চর্তুদিকে শোরগোল পড়ে যায়। সকাল ১০টা পর্যন্ত দীঘি থেকে জেলেরা জাল দিয়ে কয়েক’শমন মাছ ছেঁকে তোলে। সকলের ধারণা মাছগুলি আর কয়েক মাস দীঘিতে থাকলে কম পক্ষে ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি হত।

বর্তমানে মাছ চাষী হাসানের প্রায় ২৫লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে এলাকাবাসী ও মালিক হাসান জানিয়েছেন। হাসান আলী জানান, উপজেলায় কারো সঙ্গে তার তেমন কোন শত্রুতা নেই। কিন্তু জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের গ্রামের জনৈক মজা মেম্বার ও তার আপন ভাই করিমের সঙ্গে তার দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বৃহস্পতিবারে তার দায়ের করা একটি মামলায় ২১জন আসামীর হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। তার ধারণা তারাই দিঘীতে কীট নাশক প্রয়োগ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করতে পারে।

(বিএম/জেএ/জুলাই ১৭, ২০১৪)