আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এবং তার শাসনামলের শীর্ষ এক কর্মকর্তাকে সরকারি অর্থ আত্মসাতে আস্থাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা দু'জনের বিরুদ্ধে যৌথভাবে ৬৬০ কোটি রিঙ্গিত সরকারি অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।

নাজিব এবং মোহাম্মদ ইরওয়ান সেরিগারকে বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরের একটি আদালতে নেয়া হয়। মোহাম্মদ ইরওয়ান নাজিবের রাজস্ব মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তবে এই দু'জন তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের প্রত্যেককে ২০ বছর কারাদণ্ড, বেত্রাঘাত এবং জরিমানা গুনতে হবে। তবে বয়সের কথা বিবেচনা করে রাজিব নাজাক বা ইনওয়ানকে বেত্রাঘাত করা হবে না।

গত মে মাসে দেশের জাতীয় নির্বাচনে হেরে যান রাজিব নাজাক। সরকারি ওয়ানএমডিবি ফান্ডের অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়েই তিনি নির্বাচনে হেরে গেছেন বলে ধারণা করা হয়। ওই নির্বাচনে সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন মাহাথির মোহাম্মদ।

ক্ষমতায় বসার পর থেকেই দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নির্দেশ দেন তিনি। অভিযানের অংশ হিসেবে নাজিব রাজাককে গ্রেফতার করা হয়। নাজিব এবং তার স্ত্রীর বিভিন্ন স্থানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়।

প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য সাড়ে পাঁচ কোটি ডলার এবং সরকারি ভর্তুকি ও সাহায্য কর্মসূচির ৩১.২ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন নাজিব ও তার সহযোগী। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ তহবিলের ১২০ কোটি ডলার সরিয়ে নেয়ারও অভিযোগও রয়েছে।

ইতোমধ্যেই অর্থ পাচার, দুর্নীতি এবং বিশ্বাসভঙ্গের কারণে ৩২টি অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন নাজিব রাজাক। এগুলো সবই ওয়ানএমডিবির সঙ্গে সম্পর্কিত। তার এসব অপরাধের সাজা আগামী বছর থেকেই শুরু হবে।

তবে ইরওয়ানের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারই প্রথবারের মতো অভিযোগ গঠন করা হয়। তাকে বুধবার গ্রেফতার করা হলে সারারাত পুলিশ হেফাজতেই রাখা হয়।

নাজিব রাজাকের স্ত্রী রোসমাহ মানসুর এবং সাবেক ডেপুটি আহমেত জাহিদ হামিদির বিরুদ্ধেও দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তারা এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৫, ২০১৮)