স্টাফ রিপোর্টার : তথ্যপ্রযুক্তি আইন দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী তার নমুনা ভয়েস দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে শুনানি চলাকালে তিনি আদালতের কাছে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।

এ সময় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ইউটিউব থেকে তার নমুনা ভয়েস সংগ্রহের পরামর্শ দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে।

তিনি বলেন, আমার অসংখ্য বক্তব্যের ভিডিও আছে ইউটিউবে। আপনারা সেখান থেকে সংগ্রহ করে নিন। আমি কোনো নমুনা ভয়েস দেব না।

আদালতে উপস্থিত একাধিক পু্লিশ কর্মকর্তা ও আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার এক পুলিশ সদস্য বলেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী তার নমুনা ভয়েস দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তার নমুনা ভয়েস ইউটিউব থেকে সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাকে।

এর আগে ২৩ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সঞ্জয় গুহ আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নমুনা ভয়েস সংগ্রহ ও দুই দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী আমির খসরুর এক দিনের রিমান্ড ও নমুনা ভয়েস দিতে অস্বীকৃতি জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর দুই দিনের রিমান্ড ও নমুনা ভয়েস সংগ্রহের আবেদন করেছিলেন। আদালত শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী নমুনা ভয়েস দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

এর আগে ২১ অক্টোবর মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালত আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কোতোয়ালী থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের হওয়া মামলায় ৭ অক্টোবর পর্যন্ত উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ওইদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ফের জামিনের আবেদন করেন। আদালত ২১ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য করেন। এ সময় আদালত ২১ অক্টোবর পর্যন্ত তার নেওয়া হাইকোর্টের জামিন কার্যকর থাকবে বলে আদেশ দেন।

গত ৪ আগস্ট নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র নাশকতায় উসকানি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে কোতোয়ালী থানায় আমির খসরুর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন নগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একটি অডিও কথোপকথন ফাঁস হয়। এ অডিওতে ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে দাবি করেন মামলার বাদী জাকারিয়া দস্তগীর।

(ওএস/অ/অক্টোবর ২৫, ২০১৮)