আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে গাজাবাসীদের খাবার, পানি এবং ঔষুধ সরবরাহে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি হওয়ার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা নাকচ করে দিয়েছে ইসরায়েল ও হামাস উভয়েই।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার খবর এখন পর্যন্ত ঠিক নয়। এদিকে হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিশরে আলোচনা চলছে।

বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

এর আগে টানা নয়দিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালানোর পর হামাসের সাথে ইসরায়েল পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন দেশটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

তিনি জানান, প্রতিবেশী মিশরের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষ এই সমঝোতায় পৌঁছেছে। আগামীকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

তবে সেসময়ে হামাস এবং মিশরের পক্ষ থেকে এর সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টার জন্য মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস।

উভয় পক্ষের এ অঘোষিত যুদ্ধে এ পর্যন্ত অন্তত ২২৮ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিরা সবাই ফিলিস্তিনের নাগরিক।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক লোক। এদের মধ্যে নারী-শিশু রয়েছে।

এমনকি সৈকতে খেলার সময় ইসরায়েলি গোলার আঘাতে একই পরিবারের চার শিশু নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

পরে এ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছিল ইসরায়েল।

প্রসঙ্গত, তিন ইসরায়েলি কিশোর অপহৃত ও পরে নিহত হওয়ার ঘটনায় হামাসকে দায়ী করে গত ৮ জুলাই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরই মধ্যে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে পুড়িয়ে মারার পর পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নেয়।

এক পর্যায়ে গাজা অঞ্চল থেকে রকেট হামলা চালানো হচ্ছে অভিযোগ তুলে ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত এলাকায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।

(ওএস/এস/জুলাই ১৭, ২০১৪)