সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এসএম বিপ্লব কবীর(৩৮) নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত দু’টোর দিকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এসএম বিপ্লব কবীর সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দোহার গ্রামের শের আলীর ছেলে। তিনি জালালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও শালিখা ডিগ্রী কলেজের গণিত বিষয়ের শিক্ষক।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, উপজেলার সুজনশাহ বাজারের পাশে একটি চরমপন্থী গ্রুপের কয়েকজন সদস্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছে মর্মে তিনি খবর পান। এরই ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে পৌঁছানো মাত্র চরমপন্থী সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেল ও গুলি ছোঁড়ে। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। অন্যরা পালিয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির এক সদস্যকে ডান পায়ের হাঁটুর নীচে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে বিএনপি নতো বিপ্লব কবীর বলে সনাক্ত করে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাকে পুলিশ প্রহরায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ দিকে গুলিবিদ্ধ বিপ্লব কবীরের বোন নার্গিস পারভিন জানান, তাদের সঙ্গে একই এলাকার মোকছেদ শেখের ছেলে মাহমুদ শেখ, মোজাম শেখ, শাহীন শেখ, তোজাম শেখ. আনার শেখের ছেলে আল আমিন শেখ ও আমজাদ শেখের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। পুলিশ তাদের দারাই প্রভাবিত হয়ে বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে বিপ্লবের বাড়িতে আসে। পুলিশ যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষ ওই গ্রুপটি লাঠি শোঠা নিয়ে হই হুল্লোর শুরু করে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড শুন্যে গুলি ছোঁড়ে। এ সময় সবেদ মোড়ল(৫০) নামের একজন আহত হয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। একপর্যায়ে পুলিশ বিপ্লবের চোখে কালো কাপড় বেঁধে নিয়ে সুজনশাহা বাজারের পাশে ডান পায়ের হাঁটুর নীচে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার ভাই কোন চরমপন্থী গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত নয় বলে তিনি দাবি করেছেন।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ ফরহাদ জামাল জানান, বিপ্লবের ডান পায়ের হাঁটুর নীচে গুলি লাগার পর অধিক রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেওয়ার পর শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, বিপ্লব কবীর ২০০৪ সালের তালা থানায় আজু হত্যা মামলার চার্জশীর্ট ভুক্ত আসামী। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে এলাকায় বহু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

(আরকে/অ/জুলাই ১৮, ২০১৪)