আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া এক শিশুকে নিয়ে নিঃসন্তান দুই দম্পত্তির মধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু হয়েছে। অবশেষে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। বরিশাল শিশু আদালত এ বিষয়ে আগামীকাল রবিবার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।

একই সাথে ওইদিন কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে আদালতে উপস্থিত রাখার জন্য কোতোয়ালী মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক। শুক্রবার সকালে কোতোয়ালী মডেল থানার চৌকস ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম পিপিএম জানান, কুড়িয়ে পাওয়া শিশুকে দত্তক নেয়ার বিষয়টি যখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে এখন আদালত যে আদেশ দেবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সূত্রমতে, গত ১০ অক্টোবর দিবাগত রাতে নগরীর সদর রোড সিটি কলেজ এলাকার ময়লার ডাস্টবিন থেকে আনুমানিক ১৫ দিন বয়সের একটি কন্যা শিশুকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় নবাব কোয়ার্টারের বাসিন্দা নাসির উদ্দিনের বাসার গৃহপরিচারিকা মিনারা বেগম বাসার ময়লা ফেলতে গিয়ে শিশুটি দেখতে পান। ওই রাতেই নাসির উদ্দিনের স্ত্রী বিষয়টি তার নিকট আত্মীয় সাবেক সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামালের পুত্র কামরুল আহসান রূপনকে অবহিত করেন। তাৎক্ষনিক রূপন কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে শিশুটিকে তাদের জিম্মায় নেন।

এদিকে নগরীর নিউ সার্কুলার রোডের বাসিন্দা নিঃসন্তান আয়শা সিদ্দিকা ও তার স্বামী মিজানুর রহমান শিশুটি তাদের জিম্মায় রয়েছে দাবি করে স্থায়ী দত্তক চেয়ে বরিশাল শিশু আদালতে আবেদন করেন। বিচারক শিশুটির আইনগত অভিভাবক না পাওয়া পর্যন্ত বর্তমানে যাদের হেফাজতে রয়েছে তাদের কাছে রাখার নির্দেশ দেন। এ আদেশ পেয়ে আয়শা সিদ্দিকা দম্পতি রূপনের শ্বশুড়ের বাসা থেকে শিশুটিকে আনতে গেলে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়।

অপরদিকে আয়েশা সিদ্দিকা ও মিজানুর রহমানের দাবি মিথ্যা উল্লেখ করে শিশুটি দত্তক চেয়ে একই আদালতে বৃহস্পতিবার শেষ কার্যদিবসে আবেদন করেন রূপনের ভায়রা নিঃসন্তান একরামুল হুদা ও মারজিয়া মিরাজ দম্পতি। এ আবেদনের ভিত্তিতে আদালতের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান আগের আদেশ স্থগিত করেন আগামীকাল রবিবার শিশুটির উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের পূর্ণাঙ্গ শুনানির দিন ধার্য করেন। একইসাথে ওইদিন কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে আদালতে উপস্থিত রাখার জন্য কোতোয়ালী মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

(টিবি/এসপি/অক্টোবর ২৬, ২০১৮)