লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঋতু চক্র পরিবর্তন হয়ে অন্য একটি ঋতুর আগমন ঘটে। প্রতিটি ঋতুরই রয়েছে ভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তাই মানুষের দেহঘড়িতে এর প্রভাব পড়ে। যেমন শীতকালে আমাদের অসুখ-বিসুখের প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত শীতের পোশাক পরার পাশাপাশি শীতের অসুখ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। কিছু বিষয় মেনে চললেই শীতকালের অসুখকে উপেক্ষা করা সম্ভব। তাহলে উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক-

১. হাঁপানির রোগীরা শীত শুরুর আগেই চিকিত্সকের পরামর্শ মতো প্রতিরোধমূলক ইনহেলার বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।

২. কুসুম কুসুম গরম পানি পান করা ভালো। হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা উচিত।

৩. ঠাণ্ডা খাবার ও পানীয় পরিহার করা।

৪. প্রয়োজন মতো গরম কাপড় পরা। তীব্র শীতের সময় কান-ঢাকা টুপি পরা এবং গলায় মাফলার ব্যবহার করা ভালো।

৫. ধূমপান পরিহার করা।

৬. ধূলাবালি এড়িয়ে চলা।

৭. ঘরের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ না রেখে মুক্ত ও নির্মল বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা।

৮. যাদের অনেক দিনের শ্বাস জনিত কষ্ট আছে, তাদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোকক্কাস নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া উচিত।

৯. তাজা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা, যা দেহকে সতেজ রাখবে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

১০. হাত ধোয়ার অভ্যাস করা। বিশেষ করে চোখ বা নাক মোছার পরপর হাত ধোয়া।

১১. কিছু কিছু রোগে তীব্র শীতে অনেকের হাতের আঙ্গুল নীল হয়ে যায়। তাদের অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন যেন কোন ভাবেই ঠান্ডা না লাগে।

১২. ছোট বাচ্চাদের বেলায় সর্দি কাশির সাথে সাথে ডায়রিয়া জনিত রোগও বাড়তে পারে। কারণ এই সময় রোটা ভাইরাসের আক্রমণও বেড়ে যায়। বাচ্চাকে সব সময় ফোটানো পানি খাওয়ানো উচিত। রাস্তার খাবার, কাটা ফল ও কোল্ড ড্রিংক ইত্যাদি না খাওয়ানোই ভালো।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৮, ২০১৮)