চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : একের পর এক ফসল উৎপাদন করে উল্লেখ্য হারে লাভ না হয়েই উচ্চ ফলনশীল অটো ও বিষ্টুক জাতের শিম আবাদ করে চুয়াডাঙ্গা, জীবননগর ও দামুড়হুদার কৃষকরা বেজায় খুশি। তাইতো অটো শিম চুয়াডাঙ্গার কৃষকদের কাছে আনন্দের বন্যা বয়ে এনেছে। জেলায় ১২০ হেক্টোর জমিতে এবর শিমের আবাদ হয়েছে। এ শিম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের চাহিদা মিটাচ্ছে। চাষীদের উন্নত কৃষি প্রযুক্তির আওতায় আনতে পারলে শিমসহ সবধরণের সবজি আবাদ করে এ জেলার গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন গতি সৃষ্টি করা সম্ভব বলে মনে করে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ।

দামুড়হুদার নতিপোতা ইউনিয়নের ভগিরথপুর গ্রামের মো: একরামুল এ বছর ২৫ কাঠা জমিতে অটো জাতের শিমের আবাদ করেন। লাভের কথা জানতে চাইলে, বেশ হাসি হাসি মুখে জবাব দেন “ গত এক বছর ধইরে যা আবাদ করছি তাতেই তেমন একটা লাভ হচ্ছে না । এবার মনে হয় রূপবানই মুক ফিরে চেয়েছে। ২৫ কাঠা জমিতে সার, বিষ, নেবার খরচ সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৮/২২ হাজার টাকার মতো। বিক্রি করে ফেলেছি ৯৫ হাজার টাকার মতো। এখনো ৫৫/৬৫ হাজার টাকার বিক্রি করতি পারবো মনে হয়। তাছাড়া আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফসলের উৎপাদন ও মান খুব একটা খারাপ নাই। এ বছর কৃষকরা আধুনিক পদ্ধতি অটো উচ্চ ফলনশীল জাতের শিম আবাদ করে লাভের মুখ দেখেছেন । হাসছেন আনন্দেত।

চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষিকরা শুরুতো ৯৮ টাকা থেকে ৯০ টাকা কেজি দর পর্যন্ত বিক্রি করেছে। বর্তমান ৫২-৫৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এখনও ২ মাস পর্যন্ত এ শিম বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন চাষীরা। বীজের মান এবং আবহাওয়া ভালো থাকায় শিমের ভালো ফলন হয়েছে বলে মনে করেন এলাকার চাষীরা।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার জমি সবজি চাষের জন্য খুবই উপোযোগী। বিশেষ করে জীবননগর ও দামুড়হুদা উপজেলায় প্রচুর সবজি আবাদ হচ্ছে। এ বছর জেলায় ১২০ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন বেশি হওয়ায় এবং বাজার মূল্য বেশি থাকায় কৃষকরা এতে লাভবান হচ্ছেন। চাষীদের উন্নত কৃষি প্রযুক্তির আওতায় আনতে পারলে শিমসহ সবধরণের সবজি আবাদে এ জেলার গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন গতি সৃষ্টি করা সম্ভব মনে করেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

(টিটি/এসপি/অক্টোবর ২৮, ২০১৮)