শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : ইলিশ প্রজনন মৌসুমের নির্ধারিত সময় শেষ হলেও এখনো জেলেদের জালে ধরাপড়া প্রচুর পরিমানে ডিমওয়ালা ইলিশ। 

সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দাসহ বিভিন্ন মাছের বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ বিক্রি হতে দেখা গেছে। সরকার ২২দিন ইলিশের প্রজনন মৌসুম ঘোষণা করলেও প্রজননের জন্য এ সময়টা যথেষ্ট নয় বলে মৎস্য সংশ্লিষ্টরা দাবি করছে।

শরণখোলার রায়েন্দা বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মিলন শেখ জানান, সোমবার বলেশ্বর নদী থেকে জেলেদের জালে ধরা পড়া ৪০ কেজির ইলিশ বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে আট-নয়শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশের তিনের দুই ভাগের পেটেই ডিম রয়েছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান, তিনি বাজাওে ৩০ কেজি ইলিশ বিক্রি করা হয়েছে। তার বেশিভাগ মাছের পেটে ডিম বোঝ্ইা।

ওইসব মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের জেলেরা ২৮ অক্টোবর রাত ১২টার পর বলেশ্বর নদীতে জাল ফেলে সকালে জাল টেনে একেক নৌকায় ৯ থেকে ১০কেজি করে ডিমওয়ালা ইলিশ পেয়েছেন। আরো কিছুদিন সময় পেলে হয়তো এসব মাছেও ডিম ছাড়তো বলে তাদের ধারণা।

শরণখোলা জাতীয় মৎস্য সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, সকালে মাছের বাজারে গিয়ে অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম দেখা গেছে। ২২দিনেও সব মাছ ডিম ছাড়তে পারেনি। একারণে অবরোধের সময়সীমা আরো কিছুদিন বাড়ানো উচিৎ ছিলো।

শরণখোলা উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজননের এই সময়টাতে ৫০ ভাগ মাছ ডিম ছাড়লেই অনেক বিশাল ব্যাপার। সারা বছরই কোনো না কোনো ইলিশের পেটে ডিম থাকে। সেকারণে সরা বছরই ইলিশ মাছে ডিম ছাড়ে। যে সব মাছ ডিম ছেড়েছে সেগুলো গভীর সমুদ্রে চলে গেছে। কি পরিমান ইলিশ এ মৌসুমে ডিম ছেড়েছে সে হিসাব আরো কিছুদিন পর জানা যাবে।

(এসএকে/এসপি/অক্টোবর ২৯, ২০১৮)