স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৭ বছর ও ১০ বছর কারাদণ্ড হওয়ার ওই সাজা বাতিল না হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন হাইকোর্ট। এরপর অ্যার্টনি জেনারেল তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন।

হাইকোর্টের রায়ের পর খালেদা জিয়ার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না তা জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, কেউ সাজাপ্রাপ্ত হলে নিশ্চয়ই পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সাজা বাতিল না হয়। সাজার দুই রকম ব্যাখ্যা রয়েছে। এক. আপিল করে সাজা বাতিল করা এবং দুই. সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা। এখানে আমার অভিমত হলো, কেউ নির্বাচন করতে চাইলে তাকে সাজা বাতিল করতে হবে। তবে সাজা সাময়িক স্থগিত করে নির্বাচন করতে পারবে না। ফলে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আপিল শুনানি অবস্থায় থাকলেও হবে না, যে পর্যন্ত সাজা বাতিল না হয়।

এর আগেও অনেকেই সাজা স্থগিত রেখে নির্বাচন করেছেন, সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে নির্বাচন করতে পারবেন কি না তার জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এটা অনেকেই আইনের নানান ফাঁকফোকর দিয়ে করতে পারেন। কিন্তু আমার ব্যাখ্যা হলো যে, কেউ যদি দণ্ডপ্রাপ্ত হন, সেক্ষেত্রে তার দণ্ড যতক্ষণ না বাতিল হবে, সে পর্যন্ত তিনি মুক্ত মানুষ হিসেবে পরিগণিত হতে পারেন না। আবার সাজা স্থগিত হলে আপাতত জেল খাটা থেকে হয়তো অব্যাহতি পেতে পারেন, কিন্তু নির্বাচন করতে পারবেন না।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। ওই রায়ের পর খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অন্যদিকে খালেদার পক্ষে খালাস চেয়ে আপিল করা হয়।

আজ মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ করে দুদকের সাজা বৃদ্ধির আবেদন গ্রহণ করে এ রায় দিলেন বিচারক। এদিকে দুর্নীতির আরেক মামলায় (জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট) গতকালই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় দিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার মধ্যে দ্বিতীয় মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ৩০, ২০১৮)