সিলেট প্রতিনিধি : ধর্মভিক্তিক সংগঠন হেযবুত তওহীদ’র (মুজাহিদ) সদস্য আতিকুর রহমান আতিককে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। 

বুধবার রাতে থানা পুলিশ উপজেলার ট্যাকেরঘাট সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

আতিক উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের তরং গ্রামের বাসিন্দা ও ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের (অব.) শ্রমিক গোলেনুর মিয়ার ছেলে।

থানা পুলিশ জানায়, রাজধানী ঢাকার এক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে কয়লা সরবরাহের কথা বলে ব্যাংক চেক জামানতের মাধ্যমে আতিক ১৭ লাখ টাকা আনেন। পরবর্তীতে কয়লা সরবরাহ বা টাকা পরিশোধ না করায় প্রতারণামুলকভাবে অর্থ আত্বসাতের অভিযোগে ওই ব্যবসায়ী ২০১৬ সালে ঢাকার মেট্রোপলিটন আদালতে এনআই এ্যাক্টে মামলা দায়ের করেন।’ মামলা নং সিআর ৫১/২০১৬। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের কয়লা আমদানির শুল্ক ষ্টেশন বড়ছড়া, চারাগাঁও, বাগলী সহ সীমান্তের নানা শ্রেণীপেশার লোকজন জানান, আতিক এলাকায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃংখলা বাহিনীর দায়িত্বশীলদের ঘনিষ্টজন, বিভিন্ন পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার, একাধিক অনলাইন টিভি এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি পরিচয়ে দাপট দেখিয়ে এলাকার লোকজনকে মামলায় জড়ানো, মামলা রেকর্ড করানো ও সংবাদ প্রকাশের হুমকি দিয়ে নানা কায়দায় অনৈতিকভাবে আর্থীক সুবিধা আদায় করে আসছিলো।

কৌশলে নিজেকে কয়লা আমদানিকারক পরিচয় দিয়ে প্রায় তিন বছর পুর্বে ভারতের এক কয়লা রফতানিকারকের সাথে প্রতারণা করে কয়েক লাখ টাকার কয়লা এনে আত্বসাৎ করে যা পরবর্তীতে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপে অভিযোগ করলে আতিক প্রায় বছর দুয়েক সীমান্ত এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায়।’ গ্রেফতারী পরোয়না থাকার পরও সম্প্রতি এলাকায় ফিরে এসে আতিক ফের বেপরোয়া হয়ে উঠে।

আতিক সাংবাদিকতা ও কয়লা ব্যবসা করত বলে তার পরিবারের একাধিক সদস্য স্বীকার করলেও সে হেযবুত তওহীদের সদস্য কী না এ ব্যাপারে তারা নিশ্চিত নন বলেও জানান।

তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে, পরবর্তী আদালত আবার তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন আদালতে প্রেরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।’

(এ/এসপি/নভেম্বর ০১, ২০১৮)