নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ৫নং লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের বয়রা গ্রামের মশিউর শেখের মেয়ে ঢাকার মুন্সীগঞ্জ থেকে প্রায় ১ মাস যাবৎ নিখোঁজ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেয়ের নিখোঁজ সংবাদে অভিভাবক সহ পরিবারের সদস্যরা চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ৫নং লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের বয়রা গ্রামের মশিয়ার শেখের মেয়ে শুকরিয়া খানম (২১) এর সাথে ঢাকার মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার শিমুলিয়া গ্রামের আবুল খায়ের ফারাজীর ছেলে দীপু ফারাজী (২৯) এর মধ্যে ২০১৭ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বয়রা গ্রামের মৃত রোস্তম শেখের ছেলে আলমগীর শেখের একান্ত উদ্যোগে উক্ত বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর স্ত্রী শুকরিয়া ও স্বামী দিপু বেশ সুখে শান্তিতেই ঢাকার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া গ্রামে বসবাস করে আসছিল।

গত অক্টোবর মাসে সাংসারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয় এবং স্বামী দিপু স্ত্রী শুকরিয়াকে বেধড়ক মারপিট করে। মারধোরের পর শুকরিয়া শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় বলে দিপু দাবি করেছে। এ ঘটনায় দিপু বাদী হয়ে গত ৫/১০/২০১৮ ইং তারিখে লৌহজং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী(জিডি) দায়ের করে। যার নং- ২০৯। স্ত্রী শুকরিয়া নিখোঁজ হওয়ার পর ৭ অক্টোবর দিপু তার শ্বশুর মশিয়ার শেখকে খবর দেয় এবং মশিয়ার ৮ অক্টোবর শিমুলিয়া গ্রামে যান।

এদিকে মেয়ের নিখোঁজ সংবাদের পর পিতা সহ পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর নিয়েও শুকরিয়ার কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই।

এ ব্যাপারে শুকরিয়ার পিতা মশিয়ার শেখ বৃহস্পতিবার অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ের বিয়ের অন্যতম সমন্বয়কারি আলমগীর ও তার স্ত্রী খালেদা, জামাই দিপু ফারাজী, দিপুর পিতা আবুল খায়ের ফারাজী, বড় ভাই শিপু ফারাজী ও তার স্ত্রী পরস্পর যোগসাজগে আমার মেয়েকে হত্যা বা গুম করেছে। আমি আমার মেয়ের সন্ধান চাই।

অভিযুক্ত দিপু ফারাজীর ব্যবহৃত মোবাইলে (০১৭৪২-৮৮০৩৫৯) যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার সাথে শুকরিয়ার কোন ঝগড়া হয়নি। সে রহস্যজনক ভাবে আমার বাড়ি থেকে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছে। এ ঘটনায় আমি সংশ্লিষ্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছি।

(আরএম/এসপি/নভেম্বর ০১, ২০১৮)