সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : বাংলাদেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ঘোষনার ৩ বছর পর ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষন দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কণ্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় তাঁর ভাষনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বি.এন.পি, জামায়াত জোট আমলে তাদের অত্যাচারে নির্মমভাবে নিহত আওয়ামীলীগ নেতাদের স্মরণ করেন তিনি।

এছাড়া সৈয়দ নজরুল ইসলামের অবদানও বিশেষভাবে স্মরণ করেন। ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও দূর্গাপুরের প্রাক্তন এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদার কিভাবে নির্যাতিত হয়েছেন তাও তিনি উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্কিট হাউজ ময়দানে ঐতিহাসিক বিশাল জনসভায় ভাষন দানের আগে বিভাগের ৪ জেলায় ১৯৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতায় ও দেশ প্রেমের কারণে নেত্রকোনা ও কেন্দুয়া-আটপাড়া উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পসহ ১৯৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করায় বৃহত্তর ময়মনসিংহের লাখো লাখো জনতার পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু কণ্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি বৃহত্তর ময়মনসিংহ আইনজীবী কল্যান পরিষদের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নেত্রকোনা-৩ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো: সাইদুর রহমান মানিক।

সরকারের শেষ সময়ে এসেও এসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাখো লাখো জনতার সামনে প্রকল্পের নামগুলো পাট করে শুনানোর ফলে হাজার হাজার জনতা তাঁকে করতালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, এসব প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেই আবারো আপনাদেরকে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, যখনই আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের উন্নয়ন হয়। এই উন্নয়নের ধারাকে গতিশীল করতেই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে আপনাদেরকেই। আপনারা আবারো নৌকায় ভোট দিলেই আবার আমরা সরকারে আসব, এলাকায় আরো অনেক বেশি উন্নয়ন করব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বর্ষ পালিত হবে। এর আগেই ক্ষুধা ও দারিদ্্রমুক্ত দেশ হবে বাংলাদেশ।

এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ। তিনি ময়মনসিংহের অষ্টম বিভাগের অফিস আদালত, রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালবার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, আধুনিক ষ্ট্যেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটার সহ একাডেমিক ভবন নির্মান করার ঘোষনা দেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, উন্নয়নের জন্য আপনারা কি আবারো নৌকায় ভোট দেবেন? যদি নৌকায় ভোট দেন তবে তাহলে সবাই একসঙ্গে হাত তুলে অঙ্গিকার করুন নৌকায় ভোট দিবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ আহবানে সারাদিয়ে হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে হাত তুলে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার অঙ্গিকার করে হাত নেড়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

এদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো: সাইদুর রহমান মানিক বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগে যে সব উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে তা সম্পন্ন করতে বৃহত্তর ময়মনসিংহের লাখো লাখো মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারো শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্টিত করবেন। এতে কারো কোন কৃপনতা থাকবে না।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জয় বাংলা স্লোগান ধরে মানুষ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের কোটি কোটি মানুষ যে ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল এবার বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের কোটি কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে বিজয়ী করবে এবং আবারো শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্টিত করবেন। এই ময়মনসিংহ বিভাগ বাসী শেখ হাসিনার অবদান কোনদিন ভুলবেনা। এবার নৌকার পক্ষে জেগে ওঠেছে তরুণ সমাজ, যুব সমাজ তারাই নৌকার গণজোয়ার গড়ে তুলে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে বিজয়ী করবে এবং শেখ হাসিনাকে বসাবে চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর আসনে।

(এসবি/এসপি/নভেম্বর ০২, ২০১৮)