প্রবীর সাহা, পাবনা : আজ ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জেলহত্যা দিবস পালন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান এর রাজশাহীস্থ সমাধীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় । বাঙালির ইতিহাসে অন্যতম বেদনাবিধুর দিন। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম চার সহযোগীকে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর জেলখানার মধ্যে নিমর্মভাবে হত্যা করে ৭১এর পরাজিত শত্রুরা। দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় শোকাবহ পরিবেশে পালন করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ শনিবার চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান এর রাজশাহীস্থ সমাধীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, প্রক্টর ড. প্রীতম কুমার দাস, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ও চেয়ারম্যানসহ জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা।

সকাল ৮ টায় এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বর্বর হত্যাকান্ড ঘটে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর জেলখানার মধ্যে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ধারাবাহিকতায় খুনিরা চারনেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগকে তথা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বিনাশ করতে চেয়েছিল। জাতীয় চার নেতার হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগকে নেতৃত্ব শুন্য করতে চেয়েছিল।

উপাচার্য মহোদয় আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য জাতীয় চারনেতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

এরপর শহীদ জাতীয় চারনেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টর ড. প্রীতম কুমার দাস, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারসহ জ্যৈষ্ঠ শিক্ষকরা।

এদিকে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আজ বিকাল ৩ টায় গ্যালারি ২ তে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম।

উপ-উপাচার্য এসময় বলেন, জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধু যোগ্য সহযোগী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই আদর্শিক, ব্যক্তিত্ববান ও দেশপ্রেমিক ছিলেন। তাঁরা দেশকে মায়ের মতোই ভালোবেসেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শতভাগ বিশ্বস্ত ছিলেন বলেই খুনিরা তাদের খুন করে। কিন্তু ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। খুনিরা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা অমর হয়ে থাকবেন। উপ-উপাচার্য মহোদয় পাঠ্যসূচীতে জাতীয় চারনেতার জীবনী আরো বেশি করে অন্তর্ভূক্ত করার আহবান জানান।

মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. মোঃ হাবিবুল্লাহর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন প্রক্টর ড. প্রীতম কুমার দাস, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আওয়াল কবির জয়। সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বিজন কুমার বহ্ম্র। সভার শুরুতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।

(পিএস/এসপি/নভেম্বর ০৩, ২০১৮)