সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : নিজেকে দুর্নীতি মুক্ত রেখে সততা, উদারতা এবং মানবতার নজির সৃষ্টির পুরষ্কার হিসেবেই বাংলাদেশে চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্টিত হবেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কণ্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। এ আশাবাদ ব্যক্ত করে কওমি মাদ্রাসাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য বৃহত্তর ময়মনসিংহ আইনজীবী কল্যান সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো: সাইদুর রহমান মনিক।

রবিবার এক শুভেচ্ছা বার্তায় মানিক বলেন, সারা বিশ্বে রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে দুর্নীতি মুক্ত রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে শেখ হাসিনা তিনজনের মধ্যে একজন। যা বাঙালী জাতির জন্য অত্যন্ত গর্বের ও অহংকারের বিষয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মো: সাইদুর রহমান মানিক বলেন, আজ সোহরাওয়ারদী উদ্যানে দেশের বিশিষ্ট আলেম ওলামা সম্প্রদায়ের আয়োজনে শুকরানা মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তিনি বাংলাদেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষের একজন খাটি বন্ধু। অনেক বাধার পাহাড় পেরিয়ে সারা দেশের শত শত কওমি মাদ্রাসার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুশাসনে নতুন প্রজন্মকে বাচা বাড়ার সুস্পষ্ট পথ দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা।

তিনিই সত্যিকারের আলোর পথের দিশারী। যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জীবনকে বাজি রেখে পশ্চিম পাকিস্তান নামক একটি শোষনকারী অন্ধকার রাষ্ট্র থেকে বেড়িয়ে আলোর পথে আসার জন্য ১৯৭১ সনে ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম”। তেমনি বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা তার সততা দিয়ে তিনি প্রমান করেছেন দেশ প্রেমই তার বড় লক্ষ্য, অর্থ গাড়ি, বাড়ী ও সম্পদ বড় লক্ষ্য নয়।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা স্মরনার্থীকে বাংলার বুকে আশ্রয় দিয়ে মানবতার যে নজির সৃষ্টি করেছেন তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। যার পুরষ্কার হিসেবে তিনি মাদার অব হিউমিনিটি পদকে ভূষিত হয়েছেন। তাছাড়া যেসব কওমি মাদ্রাসা নিয়ে এতদিন নেতিবাচক আলোচনা ছিল সকল মহলে, সেইসব কওমি মাদ্রাসাকে রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে শেখ হাসিনাও যে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন তা বাংলাদেশের আলেও ওলামা সম্প্রদায় কোনদিন ভুলবেনা বলেই মনে হয়। শেখ হাসিনার উদারতার কারনে কওমি মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষক ও এর সঙ্গে সংস্লিষ্ট সকলেই আলোর পথ ধরে এগিয়ে যাবেন।

মানিক বলেন, শেখ হাসিনা উদারতার কারণে আলেম ওলামা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তাকে ‘কওমি জননী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা, উদারতা ও মানবতার জন্যেই দেশের মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, আইনজীবী, ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক সহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ বিশেষ করে আলেম ওলামা সম্প্রদায়ের লোকজন দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে আগামী একাদশ নির্বাচনে নৌকা মার্কার সব প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আবারো শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত করবেন।

সোহরাওয়ারদী উদ্যানে শুকরানা মাহফিল আয়োজন করে সারা দেশ থেকে হাজার হাজার সম্মানিত আলেম সমাজের লোকজন অংশ নেয়ায় আলেম সমাজের মুরুব্বি আল-হাইয়াতুল উলয়ালিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মুক্তিযোদ্ধা মো: সাইদুর রহমান মানিক।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সততা, উদারতা ও মানবিকতা না থাকলে অবশ্যই আলেম সমাজ আজ তার উপস্থিতিতে শুকরানা মাহফিলের আয়োজন করত না। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে যেমন আলেম সমাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানিত করেছেন, তার চেয়ে বেশি সম্মানিত করেছেন শেখ হাসিনা এই আলেম সমাজের দাবীকে মেনে নিয়ে কওমি মাদ্রাসাকে রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে।

(এসবি/এসপি/নভেম্বর ০৪, ২০১৮)